বিদেশি টুকরো খবর

৭০ জনকে বাঁচিয়ে অরল্যান্ডের নায়ক ইমরান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আর পাঁচটা দিনের মতো গত শনিবার রাতেও পালস নাইটক্লাবে ডিউটি ছিলো তার। ইমরান ইউসুফের কানে আচমকাই একটানা গুলির শব্দটা এসেছিলো। মার্কিন নৌসেনার নাবিক ছিলেন তিনি। চাকরি সূত্রে সন্ত্রাস-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে বেশ কয়েক বছর কাটাতেও হয়েছিলো। সদ্য নাবিকের চাকরি থেকে অবসর নিয়ে পালসে বাউন্সার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বছর চব্বিশের ইমরান। তাই প্রথম চার রাউন্ড গুলির শব্দ শোনার পরেই তার বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, ‘হাই ক্যালিবার’ বন্দুক থেকে গুলি চলছে নাইটক্লাবে। মুহূর্তে হামলার বিষয়টি বুঝতে পারেন তিনি। ছুটে এসে ক্লাবের বহু সদস্যের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন সে রাতে। আর তাকেই এখন নায়ক হিসেবে বরণ করে নিয়েছে গোটা অরল্যান্ডো। এদিকে হামলাকারী মতিনের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ইমরানের সাহসিকতার কাহিনি এখন লোকের মুখে মুখে ঘুরছে। তাতে অবশ্য বেশ বিব্রতই তিনি। তার ফেসবুক পেজে খুব সম্প্রতি একটা স্ট্যাটাস আপডেট দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘আমায় অনেকেই নায়কের আসন দিচ্ছেন দেখছি। কিন্তু আমি তখন যা করেছি, সেটা একটা ঘটনার প্রতিক্রিয়া মাত্র।’

 

জাপানে চপস্টিক দিয়ে বাবা হত্যার দায়ে পুত্র গ্রেফতার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: জাপানে বাবাকে চপস্টিক দিয়ে হত্যার দায়ে বৃহস্পতিবার পুত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ওসাকায় বুধবার রাতে পারিবারিক ঝগড়ার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ছেলে মিশিকাজু ইকেউচি (৫১) রান্না করার ৩০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ কাঠের চপস্টিক দিয়ে তার ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ বাবাকে আঘাত করলে তিনি প্রাণ হারান। ওসাকার এক পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ইকেউচি আমাদের বলেছেন যে, তিনি তার বাবা-মার মধ্যে ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করছিলেন। হত্যার করার উদ্দেশে তিনি তার বাবাকে আঘাত করেননি। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ইকেউচি আরো জানিয়েছেন রাগের মাথায় তিনি বাবার সামনে চপস্টিক নাড়ান। কিন্তু তিনি জানতেন না যে এটি তার বাবাকে আঘাত করবে। বাবাকে আঘাত করার পর ইকুয়েউচি অ্যাম্বুল্যান্সে খবর দেন। তিনি তার বাবা, মা ও ভাইয়ের পরিবারের সাথে বাস করেন।

ভারতের সেই মানুষ খেকো সিংহ চিহ্নিত

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের গির অভয়ারণ্য থেকে গ্রেফতার হওয়া ১৮ সিংহের ৩টি মানুষখেকো বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই ৩ সিংহের একটিকে আজীবন চিড়িয়াখানায় বন্দী রাখা হবে এবং বাকি দুটিকে উদ্ধার কেন্দ্রে রাখা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত গুজরাটের গির অভয়ারণ্য থেকে ১৮টি সিংহ আটক করা হয়। এই সময়ে সিংহের আক্রমণে তিনজন নিহত হন। আটক করা সিংহের ৩টির জৈবিক বর্জ্য পরীক্ষা করে দের চিহ্নিত করা হয়। গুজরাটের প্রধান বন্যপ্রাণী সংরক্ষক এপি সিং বলেন, একটি পূর্ণ সিংহ ও দুটি তরুণ সিংহী রয়েছে। পুরুষ সিংহটিকে চিড়িয়াখানায় পাঠানো হবে এবং বাকি দুটি সিংহীকে উদ্ধার কেন্দ্রে রাখা হবে। পুরুষ সিংহটিই হামলা করে তিনজনকে হত্যা করে। আর সিংহী দুটি সিংহর রেখে যাওয়া মাংস ভক্ষণ করে। উল্লেখ্য, গির অভয়ারণ্যটি এশিয়াটিক সিংহের একমাত্র আবাসস্থল। বাকি ১৫টি সিংহকে অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেয়া হবে। তাদের গভীর অরণ্যে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছে।

জাভা উপকূলে আটকা পড়ে ৮ তিমির মৃত্যু

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভায় আটকা পড়ে ৮টি পাইলট হোয়েল (তিমি) মারা গেছে। দ্বীপটিতে বিপুল সংখ্যক তিমি আটকা পড়ার পর তাদের উদ্ধারে একটি বড় ধরনের অভিযান চলছে। বুধবার ভোরে পূর্ব জাভা প্রদেশের প্রবোলিঙ্গোতে উঁচু ঢেউয়ের সাথে ভেসে ছোট লেজওয়ালা ৩২টি পাইলট হোয়েল তীরে আসে। স্থানীয় উপকূল ও মৎস্য কার্যালয়ের প্রধান ডেডি ইসফান্ডি বলেন, প্রথমে সৈকতের কাছে একটি বা দুটি তিমি সাঁতার কাটছিলো। তিমি মাছের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য হলো অসুস্থ হলে তারা উপকূলের কাছে চলে আসে। তিনি আরো বলেন, তবে তিমিদের সামাজিক বন্ধন এতোটাই সুদৃঢ় যে একটি তিমি অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা তাকে সমুদ্রে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ঢেউয়ের আঘাতে তারা ভেসে সৈকতে আটকা পড়ে। ইসফান্ডি বলেন, গতরাতে কয়েকশ স্থানীয় জেলে ও সরকারি কর্মকর্তা তাদের উদ্ধার করে সমুদ্রে অবমুক্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু সকালে ৮টি তিমি সৈকতে ফিরে এসে মারা যায়। এদিকে আরো প্রায় ২৩টি তিমিকে উদ্ধার করে ইতোমধ্যেই সমুদ্রে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।