বিদেশি টুকরো খবর

অমতে বিয়ে, পাকিস্তানে মা পুড়িয়ে মারলেন মেয়েকে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পরিবারের অমতে বিয়ে করায় পাকিস্তানের লাহোরে নিজের মেয়েকে পুড়িয়ে মারলেন এক মা। মারা যাওয়া মেয়েটির নাম জিনাত রফিক (১৮)। তরুণীকে পুড়িয়ে মারার পর তার মা পারভীনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। পুলিশ জানায়, হাসান খান নামে এক যুবকের সাথে পালিয়ে গিয়ে গত সপ্তায় আদালতে বিয়ে করেছিলো জিনাত। মঙ্গলবার এ কথা জানার পর তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় তার আর্তচিৎকারে এলাকার মানুষ পুলিশকে খবর দেয়, কিন্তু পুলিশ আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দায়ের মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসপি ইবাদাত নিসার গণমাধ্যমকে বলেন, যদিও মেয়েটির মা এ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন, তারপরও আমাদের মনে হয় না পঞ্চাশ বছর বয়সী নারীর একার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই পরিবারের অন্য কোনো সদস্য এতে সহায়তা করেছেন। আমরা ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া মেয়েটির এক ভাইকে খুঁজছি। এক মাসের মধ্যে দেশটিতে এভাবে মেয়েদের পুড়িয়ে মারা এটি তৃতীয় ঘটনা। সপ্তাহখানেক আগে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ইসলামাবাদে মারিয়া সাদাকাত নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

 

ভারতে ফসল নষ্টের অজুহাতে ২ শতাধিক নীলগাই হত্যা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ফসল নষ্টের অজুহাতে হায়দরাবাদ থেকে ভাড়াটে শিকারি এনে ভারতের বিহার রাজ্যে মোকামায় আড়াইশোরও বেশি বিরল প্রজাতির নীলগাই হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটির নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী মানেকা গান্ধী। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে। বিহারের রাজধানী পাটনার কাছে মোকামায় জমি ঊর্বর হওয়ায় সেখানে ফসল ভালো হয়। সংলগ্ন জঙ্গল থেকে ফসল খাওয়ার লোভে প্রায়ই হানা দেয় বিরল প্রজাতির প্রাণী নীলগাই। কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় হায়দরাবাদ থেকে শিকারি এনে গত তিনদিন ধরে নীলগাইগুলিকে গুলি করে মারা হচ্ছিলো। এ জন্য কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছিলো। বিষয়টি জানাজানি হতেই দেশজুড়ে তৈরি হয় বিতর্ক।

 

ব্রাজিলে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গিয়ে কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৩১ যাত্রী। সাও পাওলোর উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছে, বাসটি বিপরীত লেনে থাকা একটি পাথরে সাথে সংঘর্ষ হওয়ার পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। জানা গেছে যাত্রীদের বেশির ভাগ স্কুল শিক্ষার্থী। মোগি দাস ক্রুজেস শহরের তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অন্ধকার ও কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় উপকূলীয় শহর সাও সেবাস্টিনোতে যাচ্ছিলো। নিহতদের মধ্যে ড্রাইভারও ছিলো বলে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এসেছে। ব্রাজিলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর ৪৩ হাজার মানুষ নিহত হয়। ২০০২ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।