বিক্ষোভ বন্ধ ও নির্বাচনে আসার প্রতিশ্রুতি দিলে নতুন তফসিল

স্টাফ রিপোর্টার: বিরোধীদের নির্বাচন স্থগিতের দাবি ও সাংবিধানিক আদালতের পরামর্শের প্রতি সাড়া দিয়ে থাইল্যান্ডের সরকার বলেছে, তারা নির্বাচন পেছাতে রাজি আছে। কিন্তু নির্বাচন পেছালে বিরোধীদল বিক্ষোভ বন্ধ করবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। নির্বাচন পেছানোর পরেও যদি বিরোধী দল না আসে তবে সেই পদক্ষেপ হবে অর্থহীন। অযথা অর্থের অপচয়। নির্বাচনের পেছনে ইতিমধ্যে বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে। নতুন তারিখ দেয়ার পর বিরোধী দল যদি আবার ঘোষণা দেয় তারা নির্বাচনে আসবে না, তবে জনগণের অর্থ আবার পানিতে যাবে।

থাই সরকারের মুখপাত্র ভারাথেপ রাতানাকর্ন বিরোধী দলের দাবির প্রসঙ্গে এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বর্তমান তফসিল বাতিল করে নতুন তফসিল ঘোষণা করবে। কিন্তু সেই নির্বাচন বিরোধীরা বয়কট করতে পারবে না, দেশবাসীর সামনে প্রকাশ্যে এমন ঘোষণা দিতে হবে। কারণ দেশবাসী দেখেছে তাদের বিক্ষোভের কারণে রাজধানীসহ কয়েকটি শহরের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে গেছে। তারা যদি অবরোধ তুলে নেয়, তবে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। উত্সবমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিতে পারবে। তাই বিরোধী দলের সঠিক অবস্থান আগে ঠিক করতে হবে। এদিকে, আগামী সোমবার নির্বাচন কমিশন থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসে ঠিক করবে নির্বাচন পেছানো হবে কি না। পেছালে নতুন নির্বাচন কবে দেয়া যেতে পারে সে ব্যাপারে আলোচনা হবে।

ওবামাকে সুথেপের চিঠি: থাইল্যান্ডের সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের নেতা সুথেপ থগসুবান তাদের আন্দোলনের কারণ ব্যাখ্যা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি বলেন, সরকার উত্খাতে বিক্ষোভকারীদের প্রচেষ্টা গণতন্ত্রের জন্য। ওবামাকে লেখা চিঠির একটি কপি সুথেপের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে। চিঠিতে সুথেপ বলেন, তার আন্দোলন অগণতান্ত্রিক অভ্যুত্থানের জন্য নয়। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা এক বছর বা আরো বেশিদিনের জন্য নির্বাচন স্থগিত এবং সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে ক্ষমতায় একটি পিপলস কাউন্সিলকে দেখতে চান। কারণ বিক্ষোভকারীরা বিশ্বাস করে, এই কাউন্সিল গঠিত হলে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার অশুভ প্রভাব নস্যাত্ হয়ে যাবে। সুথেপ বলেন, সংস্কার থাইল্যান্ডকে আগামী দিনে অবিবেচক ও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বের রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত করবে।