বাগেরহাটে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত ২০

মাথাভাঙ্গা অনলাইন : বাগেরহাটের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কু-কোড়ামারা গ্রামে চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই কর্মীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। রোববার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

তাদের মধ্যে গুরুতর জখম আওয়ামী লীগের  ইস্রাফিল সেকেন্দার, মোখলেছকে  খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় রাতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা জড়ো হয়ে কু-কোড়ামারা গ্রামের বিএনপি-জামায়াতের সাতটি বসত বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর , লুটপাট ও বেপরোয়া তাণ্ডব চাণান। এতে বিএনপি-জামায়াতের ওমর আলী, হাসমত, আবদুল হাই, গোলেজান বিবি, জেসমিন, ছালাম মল্লিক, সিদ্দিক, খবির উদ্দিন আহত হয়।

এলাকাবাসী জানায়, রোববার রাত আটটার দিকে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কু-কোড়ামারা গ্রামের ওসমানের চায়ের দোকানে স্থানীয় আওযামী লীগ নেতা হুমাউন ও বিএনপিকর্মী একরামুলের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে  হুমাউন একরামুলকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মারে। এ সময় বিএনপির কর্মী একরামুলসহ বেশ কয়েকজন  জড়ো হয়ে চায়ের দোকানে অবস্থানরত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হমাউনের ওপর চড়াও হয়। এ সময় হুমাউন কয়েকজন সমর্থক নিয়ে পুনরায় চড়াও হবার চেষ্টা করলে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা একজোট হয়ে তাদের ওপর হামলা করলে ছয় থেকে সাতজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনার খবর পরে পাশ্ববর্তী চিরুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কমিটি গঠন সভায় ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়ে কু-কোড়ামারা গ্রামের বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত  হাজুর রহমান, আবদুল হাই, ওমর ফারুক, খবির উদ্দিন, আতিয়ার মাঝি, ওসমান শেখ, মোহাম্মাদ আলী মাঝির বাড়িতে গভীর রাত পর্য়ন্ত পুলিশের উপস্থিতে তাণ্ডব চালায়। এ সময়ে কয়েকটি বাড়িতে  মহিলাদের মারপিট করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালাংকারসহ মালামাল লুটের ঘটনা ঘটে।

অপরদিকে, এ ঘটনাকে  কেন্দ্র করে  সোমবার সকাল ১১টার দিকে শাসক দলের কিছু সন্ত্রাসী আবারও কু কোড়া মারা এলাকায় হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা বিএপির সভাপতি এমএ সালাম।

তিনি জানান, ওই এলাকায়  বিএনপি-জামায়াতের কোনো পুরুষ কর্মী বাড়ি অবস্থান করতে পারছে না।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী এরশাদুল কবির জনান, দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময়ে বাড়িঘরে হামালার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের উপস্থিতিতে কোনো হামালার ঘটনা ঘটেনি বলে ওসি দাবি করেন