বর্ষায় ওরা এসেছে!

 

মহাসিন আলী: বর্ষা এসেছে তাই ওরা এসেছে। প্রতিবছর বর্ষার সময় ওরা আসে। ঘরে থাকা ছেঁড়া ছাতা সেলাইসহ আনুসাঙ্গিক কাজ করে দিয়ে ব্যবহার উপযোগী করে দেয়ায় তাদের কাজ। বিনিময়ে পারিশ্রমিক পায় তারা। বর্ষায় শুধু ছেঁড়া ছাতায় ঠিক করা নয়। বাজারে এসেছে রঙ-বেরঙের ছাতা। দাম যাই হোক বর্ষায় হাতে একটা ছাতা থাকা চাই।

ছাতা শুধু বর্ষায় নয় গ্রীষ্মেও প্রয়োজন। তবে বর্ষাকালে প্রয়োজনটা বেশি। বর্ষায় স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী এমনকি সব শ্রেণির মানুষের প্রয়োজন ছাতার। এছাড়া প্রচণ্ড রৌদ্রতাপে ছাতার প্রয়োজন কম কি? ছাতা ছাড়া বর্ষায় ভিজলে জ্বর-জ্বালা, ঠাণ্ডা লাগে ও মাথা ব্যথা হয়। এছাড়াও বর্ষার বৃষ্টিতে ছাত্র-ছাত্রীদের বই-খাতা এবং চাকরিজীবীদের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র ও ব্যবসায়ীদের মূল্যবান মালপত্র ভিজে যাওয়া স্বাভাবিক। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপে ছাতা মাথায় দিলে শরীরের ত্বক পুড়বে না ধরবেনা মাথা। সবদিক বিবেচনা করে দেখা যায় ছাতা খুবই প্রয়োজন।

হাতে টাকা থাক বা নাই থাক। বর্ষায় ছাতা জরুরি। তাইতো ঘরে থাকা পুরোতন ছাতাটা অল্প টাকায় সেরে নিলে ক্ষতি কি? পুরানো ও ভাঙা ছাতা সেলাই করার জন্য তো তারা এসেছে। শহর ও গ্রাম-গঞ্জে এ সময় তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এক জায়গায় বসলেই বেশ কয়েকটা ছাতা তারা মেরামত করেই উঠে। আলম, সোবহান, মমিন, ইউসুফ নামের চেনা-জানা অনেকে এ বছরও এসেছেন মেহেরপুর জেলায়। এদের অনেকের বাড়ি বরিশাল ও ফরিদপুর জেলায়। স্ত্রী-সন্তান দেশ-গ্রামে রেখে প্রতিবছর এরা আসে। জরুরি প্রয়োজনের ছাতা সেরে দেয় তারা। বিনিময়ে পারিশ্রমিক নেন তারা।

এদিকে বর্ষার আগে বাজারে এসেছে ছাতা। দাম কম-বেশি যাই হোক। আকর্ষনীয় রঙ-বেরঙের ছাতা ছেলে-বুড়ো সকলের পছন্দের। এসব ছাতার শুধু বাহারী রঙই শেষ নয়। দুই ও তিন ভাজ করেই হাতে কিংবা ব্যাগে রাখা যায়। প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়।