ফজলুল হক হত্যার ক্লু পায়নি পুলিশ : আটক ৪

 

মাথাভাঙ্গা অনলাইন: রাজধানীর রামপুরায় নিজ বাসায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা ফজলুল হক হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ক্লু পেতে নিহতের চালক ও বাড়ির সামনের দুই দোকানদারকে জিজ্ঞসাবাদ করছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। এছাড়াও স্থানীয় মাদক ব্যবাসয়ী সোর্স সেলিম ওরফে কলা সেলিমকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় থাকা সন্দেহভাজন নিহতের এক গৃহকর্মীকে খোঁজা হচ্ছে। ওই গৃহকর্মী গত ১৮ আগস্ট এ বাসায় যোগ দিয়ে ৩-৪ দিন পর চাকরি ছেড়ে দেয়। এ তথ্য নিহতের ডায়েরিতে পেয়েছে পুলিশ। নিহত ফজলুল করিম ডায়েরিতে দিনলিপি লিখতেন। এ হত্যাকা-ের মোটিভ উদ্ধারে ওই ডায়েরি ঘেঁটে দেখছে গোয়েন্দারা।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া তিন জনই পেশাদার বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছে। এমনটাই বলছেন তদন্তকারী পুলিশ সদস্যরাও। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, গুলি করার ধরন দেখে স্পষ্ট, এটি পেশাদার খুনিদের পক্ষে ছাড়া সম্ভব নয়।

এদিকে শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে জাস্ট নিউজকে নিশ্চত করেন রামপুরা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, নিহতের লাশ দাফনের জন্য স্বজনরা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ায় মামলা দায়েরে দেরি হয়েছে। তবে ঘটনার দিনই অভিযোগ দিয়েছেন তারা। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে নিহতের মেয়ে জামাই ব্যারিস্টার চৌধুরী মুকিম উদ্দিন খান বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মামলার ক্লু না পাওয়া গেলেও আশা করছি দ্রত এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ঘটনার পর রাতে গোয়েন্দা পুলিশ নিহতের গাড়িচালককে আটক করে। ওই চালক দেড় মাস আগে যোগদান করেন। এছাড়া র‌্যাব নিহতের বাসার সামনের দুই দোকানদারকে আটক করে জিজ্ঞসাবাদ করছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াপদা রোড থেকে কলা সেলিমকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। কলা সেলিম এলাকায় মাদক ও বাসাবাড়িতে মিনি পতিতালয় ব্যবসায় জড়িত। নিহতের বাড়ি কাছে সেলিমের দুটি স্পট রয়েছে। এ নিয়ে তার সাথে সেলিমের কোন দ্বন্দ্ব রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এছাড়া সম্প্রতি একুশে টেলিভিশনে একটি মিনি পতিতালয় নিয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। ওই প্রতিবেদনে একটি ‘মিনি পতিতালয়ে’ ক্যামেরার সামনে ধরা পড়ে সেলিম। এ সময় সে নিজেকে ২২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সেক্রেটারি শাওন পরিচয় দেয়। যদিও সেলিম শাওনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সেলিম রামপুরা থানা পুলিশেরও আস্থাভাজন। তাকে পুলিশের গাড়িতেও দেখেছে এলাকাবাসী।

গত বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরা ওয়াপদা রোডের নিজ বাসায় ঢুকে তিন দুর্বৃত্ত গুলি করে পুলিশের (সিআইডি) সাবেক অতিরিক্ত সুপার ফজলুল করিমকে হত্যা করে।

 

 

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *