প্রেমিকের বাড়ি হরিণাকুণ্ডুতে নয় সরোজগঞ্জের বোয়ালিয়ায়?

দেখা পেলেও মমতার হলো না দিশা

স্টাফ রিপোর্টার: মোবাইলফোনে প্রেম করে প্রতারিত মমতা পুলিশে নালিশ করেনি, পুলিশও তেমন গায়ে মাখেনি। কৌশলে হুমকির মুখে দিশে না পেয়ে মমতা ওরফে ঝর্ণা তার ভাইয়ের সাথে বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। অপরদিকে আবুল কালাম আজাদ বলে পরিচয় দেয়া যুবকের বাড়ি হরিণাকুণ্ডুতে নয়, সে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের সরোজগঞ্জ বোয়ালিয়ার ছেলে বলে স্থানীয়রা জানিয়ে বলেছে, প্রতারণার জন্যই বিদেশ ফেরত যুবক নিজেকে আবুল কালাম বলে পরিচয় দিয়েছে। কারণ গতকাল তার ছবি দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় দেখে স্থানীয়রা নিশ্চিত হয়েছে।

চাঁপাইনববাগঞ্জের রাজারামপুর গ্রামের মেয়ে মমতা ওরফে ঝর্ণা। অনার্সের ছাত্রী। চাঁপাইনবাবগঞ্জের হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করে। মোবাইলফোনে পরিচয় হয় এক যুবকের সাথে। যুবক তার পরিচয় দিতে গিয়ে জানায়, ‘বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের টেকনিশিয়ান পদে চাকরি করে।‌’‌ দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলফোনে প্রেমালাপ করে। সম্প্রতি যুবকের আহ্বানে যুবতী ঢাকায় পাড়ি জমায়। সেখানে বিয়ের আগেই বাসর সারে তারা। কৌশলে যুবক সরে পড়ে। যুবতী বাড়ি ফিরে আশ্রয় না পেয়ে প্রেমিকের দেয়া ঠিকানা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়। গতপরশু সন্ধ্যায় যুবতী চুয়াডাঙ্গা ঈদগাপাড়া অতিক্রমের সময় হাসপাতালের অবস্থান জানতে চেয়ে আশ্রয় পেয়ে আশাদুল হকের বাড়িতে থাকে। পুলিশ খবর পেয়ে যুবতীকে থানায় নিতে চাইলেও পরশু থানা-পুলিশ করতে আপত্তি জানায় যুবতী। যুবতীর কাছে থাকা তার প্রেমিকের ছবিসহ যুবতীর প্রতারিত হওয়ার বর্ণনা সংবলিত প্রতিবেদন গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পত্রিকার ছবি দেখে অনেকেই চিনে ফেলে ওই যুবদল নেতাকে।

পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর পরই সরোজগঞ্জ এলাকা থেকে অনেকেই মাথাভাঙ্গা দফতরে মোবাইলফোনে জানান, যে যুবকের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ওই যুবকের বাড়ি হরিণাকুণ্ডুতে নয়, সরোজগঞ্জের পার্শ্ববর্তী বোয়ালিয়া গ্রামে। এক সময় খেলাধূলা করতো। বিদেশেও ছিলো কিছুদিন। এদিকে ওই যুবক চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে সাথে নিয়ে ঈদগাঁপাড়ার আশাদুল হকের বাড়িতে হাজির হয়। গতকালও ওই যুবক নিজেকে হরিণাকুণ্ডুর বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়ে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। জামায়াত করে বলে জানিয়ে কৌশলে হুমকি দিয়ে যুবতীকে বাড়ি ফিরতে বলে। অবস্থাদৃষ্টে আশ্রয়দাতা যুবতীকে থানায় নিতে থানার ওসিকে মোবাইলফোনে অনুরোধ জানান। পুলিশের তরফে তেমন সাড়া মেলেনি। এরই মাঝে যুবতীর ভাই মোবাইলফোনে পাওয়া খবরের প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা ঈদগাঁপাড়ার ওই আশ্রয়দাতার বাড়িতে পৌঁছান। যুবতী থানায় তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে নালিশ না করেই বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়। গতরাতে সে তার ভাইয়ের সাথে বাড়ি ফিরেছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *