প্রতিবন্ধী ভাইয়ের সম্পত্তি ষড়যন্ত্র করে রেজিস্ট্রি করে নেয়ার অভিযোগ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার নওলামারী গ্রামের রবিউল ইসলাম ও তার চাচাতো ভাই আজিবারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধি ভাইয়ের সম্পত্তি ষড়যন্ত্র করে রেজিস্ট্রি করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার অসহায় বোবা-পাগলের শেষ সম্বলটুকু রেজিস্ট্রি করে নিতে গেলে পুলিশ ক্রেতা প্রতারক আজিবার ও শনাক্তকারী আলতাবকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় পালিয়ে গেছে ভাই রবিউল ইসলাম।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার নওলামারী গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে জামাল উদ্দিন ও রবিউল ইসলাম। বড় ভাই জামাল উদ্দিন বোবা ও স্বল্পবুদ্ধিসম্পন্ন। সে কারণে তার স্ত্রী প্রায় ৮/৯ বছর আগে জামাল উদ্দিনের সংসার ছেড়েছে। তাদের একমাত্র মেয়ে বিথির বয়স এখন ১১ বছর। সেও স্বল্পবুদ্ধিসম্পন্ন। তাদের এ অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়েছে জামাল উদ্দিনের আপন সহোদর রবিউল ইসলাম। রবিউল ইসলাম প্রায় দেড় বছর আগে আলমডাঙ্গা শহরের হোটেলে পেটপুরে গোস্তভাত ও মিষ্টি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে আলমডাঙ্গায় নিয়ে যায়। হোটেলের পরিবর্তে বোবা-পাগল ভাই জামাল ও তার মেয়ে বিথিকে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে গিয়ে কৌশলে ২ বিঘা জমি নিজ নামে রেজিস্ট্রি করে নেয়। একপর্যায়ে এ বিশ্বাসঘাতকতার কাহিনী জেনে যায় তাদের চাচাতো ভাই একই গ্রামের মৃত রবগুলের ছেলে আজিবার। সে বিষয়টি গ্রামবাসীকে জানিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। রবিউল ইসলাম তার বড় ভাই বোবা-পাগল অসহায় জামালের অবশিষ্ট ১০ কাঠা জমি কৌশলে চাচাতো ভাই আজিবারের নামে রেজিস্ট্রি করে দেবে এ লোভ দেখিয়ে আজিবারকে শান্ত করে। গতকাল রবিউল ইসলাম ও আজিবার জামাল ও তার মেয়ে বিথিকে আবারও আলমডাঙ্গা হোটেলে মিষ্টি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে আসে। কৌশলে বোবা-পাগলের শেষ সম্বলটুকু রেজিস্ট্রি করে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। বিষয়টি বোবা-পাগল জামালের শ্যালক আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে জানায়। গতকাল বেলা ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা থানার এসআই টিপু সুলতান আলমডাঙ্গা রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে উপস্থিত হয়ে ষড়যন্ত্রকারী আজিবার ও শনাক্তকারি হিসেবে উপস্থিত নওলামারী গ্রামের কাঙ্গালির ছেলে আলতাবকে গ্রেফতার করে। এ সময় রবিউল ইসলাম পালিয়ে যায়।