পুলিশ পরিচয়ে ইজিবাইক চালককে তুলে নিয়ে টাকা আদায়

ভালাইপুর প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ পরিচয়ে এক ইজিবাইকচালককে জিম্মি করে টাকা আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। হ্যান্ডকাফ পরিয়ে জেলে পাঠানোর ভয় দেখিয়ে দু’ঘণ্টা ধরে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে দুই প্রতারক। এসময় ইজিবাইক চালককে মারপিট করে তারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে এ ঘটনা ঘটে। মারপিটের শিকার ইজিবাইকচালক নওশাদ আলী আলমডাঙ্গা উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে মদপানের অভিযোগ এনে এ ঘটনা ঘটায় পুলিশ পরিচয়দানকারী দুই প্রতারক।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, নওশাদ আলী জেলা শহরে ইজিবাইক চালান। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তিনি ইজিবাইক চালিয়ে শহরের ইমারজেন্সি সড়কে ঢোকেন। সড়কের মাঝামাঝি স্থানে দুই প্রতারক এসে তার ইজিবাইকটি থামায় এবং নওশাদকে চড়থাপ্পড় মেরে বলে ‘তুই মদ খেয়েছিস, ১০ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দেব, তা না হলে থানায় যেতে হবে।’ এ সময় প্রতারকরা বাড়িতে মোবাইলফোনে কল করে টাকা আনার জন্য নওশাদকে চাপ দেয়। নওশাদ আলীর বাড়িতে মোবাইলফোন নেই বলে জানালে প্রতারকরা তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে ভালাইপুর গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানেও টাকা না পেয়ে পুনরায় নওশাদ আলীকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে নিয়ে আসে এবং মারধর করে পকেটে থাকা কিছু টাকা নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পর নওশাদকে ছেড়ে দিয়ে সটকে পড়ে। নওশাদ আলী জানান, ‘দুই প্রতারক আমাকে অনেক চড়থাপ্পড় ও ঘুষি মেরেছে। তারা টাকা আদায়ের জন্য অনেক ঝোলাঝুলি করেছে কিন্তু টাকা না থাকায় আমি দিতে পারিনি। শেষমেশ আমার মুক্তির জন্য স্ত্রীর কাছেও কল করি। তার কাছেও ওই সময় টাকা ছিল না। প্রতারকরা প্রায় দু’ঘণ্টা আমাকে আটকে রাখে। পরে এক সাংবাদিকের কল আসে আমার মোবাইলফোনে। রাত ১০টার দিকে তারা আমাকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফুল কবীর জানান, ‘এ ধরনের একটি ঘটনার কথা শুনেছি। আমরা থানায় একটি অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেছি।’