পটেটো চিপস-ফ্রাইতে মৃত্যুঝুঁকি!

 

স্টাফ রিপোর্টার: পটেটো চিপস কিংবা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খুব পছন্দ? কিন্তু যারা এগুলোর প্রতি আসক্ত তাদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, যারা এসব কম খায় কিংবা আদৌ খায় না তাদের চেয়ে যারা এগুলো বেশি খায় তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। এই গবেষণার ফল সম্প্রতি আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ফ্রাই না করা আলুতে ঝুঁকি নেই বলে তারা জানিয়েছেন।

গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ড. নিকোলা ভেরোনিস বলেছেন, বিশ্বজুড়ে ফ্রায়েড পটেটো গ্রহণের পরিমাণ বাড়ছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল পটেটো কাউন্সিলের ২০১৪ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, একজন মার্কিন নাগরিক গড়ে ১১২ পাউন্ড করে আলু গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে সাড়ে ৩৩ পাউন্ড নন-ফ্রায়েড এবং অবশিষ্ট সাড়ে ৭৮ পাউন্ড হচ্ছে ফ্রায়েড পটেটো অর্থাত্ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস ইত্যাদি। নিকোলা এবং তার দল ৪৫ থেকে ৭৯ বছর বয়সের ৪ হাজার ৪৪০ জন লোকের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই ফল পেয়েছেন। নিয়মিত চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইসহ আলু দিয়ে তৈরি প্রোসেস করা খাবার নিয়মিত গ্রহণ করা মানুষদের উপর ৮ বছর মেয়াদি গবেষণা চলাকালেই ২৩৬ জনের অকাল মৃত্যু হয়েছে। প্রোসেস করা আলুতে কেন অকালমৃত্যুর ঝুঁকি বেশি, এ প্রসঙ্গে তারা বলেছে এগুলোতে ট্রান্স-ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। আর রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে ট্রান্স-ফ্যাট। এর ফলে অকালে হূদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে। পেশাগত কারণে যাদের অলস বসে থাকতে হয় তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি আরো বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল পটেটো কাউন্সিলের সিইও জন কিলিং বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আলু খুব স্বাস্থ্যকর একটি সবজি। একটি মাঝারি আকারের আলু থেকে ১১০ ক্যালরি পাওয়া যায়। এতে ফ্যাট নেই, সোডিয়াম নেই কোলোস্টেরলও নেই। এছাড়া প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি’র এক-তৃতীয়াংশ পূরণ করে এটি। তাই সবজি হিসেবে আলু খেলে তাতে বিন্দুমাত্র ক্ষতি নেই; কিন্তু আলু প্রোসেস করার পদ্ধতির উপর নির্ভর করে এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হচ্ছে নাকি ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে।’ তাই যারা প্রোসেস করা পটেটোর প্রতি আসক্ত তাদের সতর্ক হওয়া উচিত।