দ্রুত পুলিশের উপস্থিত হওয়ায় বড় ধরনের সর্বনাশ থেকে রক্ষা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের নওদাপাড়ার আব্দুল খালেকের ইটভাটার নিকটে আবারও দুঃসাহসিক ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে।রাস্তার গাছ কেটে রোডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ২টি মাইক্রোড্রাইভার ও যাত্রীদের নিকট থেকে টাকা, সোনার গয়না ও বেশ কয়েকটি মোবাইল সেট কেড়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে ডাকাতদল দ্রুত পালিয়ে যায়।

জানাগেছে,আলমডাঙ্গা বাজারের এমআর বস্ত্রালয়ের মাইক্রোড্রাইভার ডামোশ গ্রামের সেন্টু। গত রোববার সে সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়াতে ভাড়া মারে। রাতে আলমডাঙ্গায় ফেরার পথে রাত ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে নওদাপাড়ার আব্দুল খালেকের ইটভাটার নিকট পৌঁছুলে পূর্বথেকে ওত পেতে থাকা ডাকাতদল রাস্তায় গাছ ফেলে গতিরোধ করে। ওই সময় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ১৪/১৫ জনের ডাকাতদল হত্যার ভয়-ভীতি দেখিয়ে ড্রাইভার সেন্টুর নিকট থাকা ২১ হাজার নগদ টাকা,সোনার চেন ও মোবাইল সেট কেড়ে নেয়। এরপর ওই মাইক্রোর যাত্রীদের নিকট থেকেও নগদ টাকা ও বেশ কয়েকটি মোবাইল সেট কেড়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।এরই মাঝে কোনো এক যাত্রী মোবাইলফোনে আলমডাঙ্গা থানায় সংবাদ দেন।এরপর রাজশাহী থেকে ফেরার পথে চুয়াডাঙ্গার একটি নোহা মাইক্রোর পথ আটকে ড্রাইভার ও যাত্রীদের নিকট থেকে নগদ টাকা ও ৭টি মোবাইল সেট কেড়ে নেয়। শেষে কয়েকটি ট্রাকেও ডাকাতি করে বলে জানা যায়।সংবাদ পেয়ে এ ঘটনার সাথে সাথেই আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অকুস্থলে পৌঁছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।

মাইক্রোড্রাইভার সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রঞ্জু শেখ বলেছেন, সময় মতো পুলিশ ঘটনাস্থলে না পৌঁছুলে রাতভর ডাকাতদল অনেক মানুষের সর্বনাশ করতো। তবে মাঝে মধ্যে ওই স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সে জন্য পুলিশকে আরও সতর্ক থকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।