দৌলতপুরে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ

দৌলতপুর প্রতিনিধি: দশম জাতীয় নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের নবনির্বাচিত স্বতন্ত্রপ্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই ভাতিজা ও কর্মী সমর্থকরা দৈনিক ইত্তেফাকের দৌলতপুর সংবাদদাতা জহুরুল হক সেন্টুর ওপর হামলা, মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন আহমেদ এমপি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা কখনও শুভ হতে পারে না।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী কোরবান আলী তার বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের প্রতিচিত্র হিসেবে কাজ করে। তাই সাংবাদিকদের ওপর হামলা সমাজের ওপর হামলার নামান্তর। এটি মেনে নেয়া যায় না। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের দৌলতপুর উপজেলা যুগ্মআহ্বায়ক কেন্দ্রীয় যুব জোটের যুগ্মসম্পাদক শরিফুল করীর স্বপন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ওয়ার্কার্স পার্টির কুষ্টিয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড মজিবর রহমান মাস্টার ও ওয়ার্কার্স পার্টির দৌলতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি কমরেড ফজলুল হক বুলবুল এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। এছাড়া জাতীয় পাটি জেপির দৌলতপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মসলেম উদ্দিন সর্দার, আল্লারদর্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার জালাল উদ্দিন, খলিশাকুণ্ডি প্রেসক্লাবের সভাপতি বাপ্পারাজ বাপ্পা সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ, আমলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সালিম খান, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মাসুম, মিরপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি কাঞ্চন কুমার পৃথকভাবে সাংবাদিক জহুরুল হক সেন্টুকে মারপিটের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, দৈনিক ইত্তেফাকের দৌলতপুর সংবাদদাতা জহুরুল হক সেন্টু গত রোববার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের নির্বাচনী কন্ট্রোলরুমে অবস্থান করছিলেন। রাত ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণার পর তিনি সেখান থেকে ফেরার সময় নবনির্বাচিত স্বতন্ত্রপ্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরীর সমর্থকরা তাকে বেধড়ক মারপিটসহ তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।