দৌলতপুরে এএসআই ইউএনও এবং ওসির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

 

দৌলতপুর সংবাদদাত: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসি আহমেদ কবীর ও পুলিশের অভিযুক্ত এএসআই জাহিদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত ৬ এপ্রিল এক কলেজছাত্রকে মাদকব্যবসায়ী সন্দেহে থানায় ধরে নিয়ে হুমকি দেয়ার ঘটনায় এ নির্দেশ দেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলি-২ (দৌলতপুর-ভেড়ামারা) আদালতের বিচারক এমএম মোর্শেদ এ আদেশ প্রদান করেন।

দৌলতপুরের ওই কলেজছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে কি-না, থানা হাজতে থাকাবস্থায় এএসআই জাহিদ হুমকি প্রদর্শন করেছেন কি-না ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমান ৬/১ ধারা লঙ্ঘন করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি প্রদান করেছেন কি-না তা আদালত জানতে চেয়েছেন।

কুষ্টিয়ার সহকারী জজ দৌলতপুর আদালতের বিচারক ফয়সাল আল মামুনকে আগামী ৩১ মে’র মধ্যে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে পুলিশ। পরে রাত আড়াইটার দিকে থানার এএসআই জাহিদ হাজতখানায় ঢুকে তাকে হুমকি দেয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।