দেশের মোট জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৭ লাখ

 

স্টাফ রিপোর্টার: সর্বশেষ আদমশুমারি ও গৃহ গণনা ২০১১ অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ জন। ২০১১ সালের ১৫-১৯ মার্চ আদমশুমারি ও গৃহ গণণা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশে ৬ষ্ঠ আদমশুমারি ও গৃহ গণনা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে। আজুুবৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য বেগম মাহজাবীন মোরশেদ। সরকার দলীয় সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশ হতে শতভাগ দারিদ্র্য দূরীকরণ, সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিতকরণসহ নিম্ন আয়ের জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন ধরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি জানান, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার জনগণের অভূতপূর্ব রায় নিয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে। এ গণরায়ের ভিত্তি ছিলো ‘রূপকল্প-২০২১’ দিন বদলের সনদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মসূচির প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন।

পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মসূচি গ্রহণ করে। ফলশ্রুতিতে অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা ও মজবুত করার লক্ষ্যে সামষ্টিক প্রধান বিষয় যেমন- মোট দেশজ আয়, প্রবৃদ্ধি, রফতানি আয়, কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি হ্রাসে সরকারের সাফল্য অভূতপূর্ব। বর্তমান সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে দীর্ঘমেয়াদী রূপকল্প হিসেবে ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১) প্রণয়ন করে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এ পরিকল্পনার লক্ষ্যসমূহ অর্জনে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১১-১৫) বাস্তবায়িত হয়েছে।

তিনি আরো জানান, বহির্বিশ্বে মন্দাপ্রভাব ও দেশের অভ্যন্তরে রাজনীতির নামে বিরোধী দলের সহিংসতাসত্ত্বেও বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬০২ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যে অবস্থান কমেছে ৪০ শতাংশ থেকে সাড়ে ২৩ শতাংশে। আর অতি-দরিদ্রতার হার কমেছে ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ১ শতাংশে। আর দারিদ্র্য নিরসন সরকারের এক অন্যতম সাফল্য।

মন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছর শেষে এ বরাদ্দের প্রায় সম্পূর্ণই ব্যয়িত হবে এবং যা দেশের দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে বের হতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যেহেতু একটি রূপকল্প-২০২১ সামনে রেখে অগ্রসর হচ্ছে, সে কারণে তার দৃষ্টি কেবল এক বছরে সীমাবদ্ধ নয়। আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ পেরিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জনপদে পরিণত করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।