দেশের টুৃকরো খবর

‘পাবলিক প্লেসে’ বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সহযোগিতায় ঢাকার সব ‘পাবলিক প্লেসে’ ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। গতকাল সোমবার সকালে গুলিস্তানে বিটিসিএল প্রাঙ্গণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন সাঈদ খোকন। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিটিসিএল ও ডিএসসিসি। সাঈদ খোকন বলেন, অচিরেই নগরবাসীকে ময়লা ফেলার সুবিধার্থে রাস্তার পার্শ্বে প্রতি ১০০ গজের মধ্যে একটি করে ডাস্টবিন স্থাপন করবে ডিএসসিসি। তারপরও ঢাকার প্রতিটি নাগরিককে শহর পরিষ্কারে একজন মেয়রের ভূমিকা পালন করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী খান মো. বিলাল, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

   বাগেরহাটে শিশুর লাশ উদ্ধার : চাচি আটক

স্টাফ রিপোর্টার: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে জান্নাতি আক্তার (১১) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের উত্তর বারইখালী গ্রামের ভরাঘাটা খাল থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। দুপুরে পুলিশ জান্নাতিকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে সেলিনা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে। সেলিনা সম্পর্কে জান্নাতির চাচি। তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বাগেরহাট সদর হাসপাতালমর্গে পাঠানো হয়েছে। জান্নাতি স্থানীয় বারইখালী মানিক মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তিনি উত্তর বারইখালী গ্রামের জালাল উদ্দিন ওরফে জালু শেখের মেয়ে। মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল আলম জানান, উত্তর বারইখালী গ্রামে খালে শিশু জান্নাতির মৃতদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। নিহতের শরীরে বাহ্যিক কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। জান্নাতির পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, রোববার রাতে মেয়েটি তার বাবা মায়ের সাথে বাড়ির পাশে হাজী ইব্রাহীম স্মৃতি দাখিল মাদরাসায় মাহফিল শুনতে গিয়েছিলো। সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজাখুজি করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

    যশোরে হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার: যশোরে আবদুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে তার স্ত্রী ও ভগ্নিপতিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ হোসেন হায়দার এ রায় দেন। একই সাথে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায়েরও আদেশ দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী শাবানা খাতুন ও ভগ্নিপতি আবদুল আলিম। দুজনের বাড়ি আজমতপুর গ্রামে। আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১০ মার্চ বাড়ির পাশ থেকে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় রাজ্জাকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত রাজ্জাকের ভাই মিন্টু বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

খাদ্য মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

স্টাফ রিপোর্টার: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। গতকাল সোমবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নোটিশের জবাব দাখিল করে তাতে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড চৌধুরী মো. জাহাঙ্গীর এ জবাব দাখিল করেন। অপরদিকে প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামও। রোববার তার আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি জমা দেন। সূত্র জানায়, ওই আবেদনে মন্ত্রী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেছেন, বিচারাধীন থাকা অবস্থায় যে কোনো প্রকার বক্তব্য অনভিপ্রেত। ইহা বিচারকে প্রভাবিত করার মতো হোক বা না হোক এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত। মহামান্য প্রধান বিচারপতির দফতর সম্পর্কে বিরূপ ধারণা আমি পোষণ করি না। এই দফতর সম্পর্কে কোনোরূপ মন্তব্য বিচার বিভাগকে আঘাত করার শামিল।

এর আগে খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম এমপি আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে একটি আবেদন দাখিল করেন। প্রধান বিচারপতি ও বিচারাধীন মামলার বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় গত ৮ মার্চ আপিল বিভাগের ফুল কোর্ট আদালত অবমাননার অভিযোগে ওই দুই মন্ত্রীকে তলব করেন। একইসাথে আদালত অবমাননার দায়ে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। আদালতের আদেশ অনুযায়ী সোমবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই দুই মন্ত্রীর পক্ষে দুটি আবেদন দাখিল করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন আরও ২৬ বীরঙ্গনা

স্টাফ রিপোর্টার: একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী এবং রাজাকারদের হাতে নির্যাতিত ২৬ বীরঙ্গনার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এর আগে গত বছর ১২ অক্টোবর ৪১ জন বীরঙ্গনার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গতকাল সোমবার গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে দুই ধাপে মোট ৬৭ বীরঙ্গনার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, বীরঙ্গনারা মুক্তিযোদ্ধাদের মতো সব ধরনের সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। অন্য বীরঙ্গনাদেরও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আনতে কাজ করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয় বর্তমানে ৪০০ থেকে ৫০০ জনের একটি তালিকা নিয়ে কাজ করছে বলে জানানো হয়। ১৯৭১ সালে ডিসেম্বরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যা‌তিত নারীদের ‘বীরঙ্গনা’ স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সম্মান জানান। শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের ৪৩ বছর পর গতবছরের ১০ অক্টোবর বীরঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। পরে গত বছর ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ওই প্রস্তাব পাস হয়।

নোয়াখালীতে হিজবুত-গ্রামবাসী সংঘর্ষে দুজন নিহত

স্টাফ রিপোর্টার: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার চাষিরহাট বাজার ও পোরকরা গ্রামে হিজবুত তাওহীদের কর্মীদের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় চাষির হাট বাজারে অবস্থিত হিজবুত তাওহীদের কার্যালয় ভাঙচুর ও দুটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধরা।

সংঘর্ষে দুজন নিহতের হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও নিকারুজ্জামান। তবে তিনি নিহতদের নাম জানাতে পারেননি। এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অনেককে আহত হতে দেখেছেন।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরিফ জানান, কয়েক বছর থেকে পোরকরা গ্রামে হিজবুত তাওহীদের কর্মীদের সাথে স্থানীয়দের বিরোধ চলে আসছে। ‘এলাকাবাসীর অভিযোগ- হিজবুত তাওহীদের কর্মীরা এলাকায় ইসলামবিরোধী নানা রকম কর্মকাণ্ড চালায়। এলাকায় বিজিবি ও ৱ্যাবসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।