দেশের টুকরো খবর

লন্ডনে বসে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন তারেক : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘লন্ডনে এক কুলাঙ্গার বসে আছে। তাকে আদর দিয়ে ব্রিটিশ সরকার বসিয়ে রেখেছে। ব্রিটিশ সরকার কেনো তাকে আশ্রয় দিয়েছে জানি না। সে ওখানে যাওয়ার পর টিউলিপ হুমকি পাচ্ছে। ব্রিটিশ সরকারের দায়িত্ব এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টিউলিপকে দেয়া হুমকিতে বলা হয়েছে তোর নানাকে হত্যা করেছি। তোকে আর তোর মা-খালাকেও হত্যা করব। এই হলো হুমকির ভাষা। যে হুমকি শুনে বিএনপি নেত্রীর সেই হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ চাই হুমকির কথা মনে পড়ে যায়। এর অর্থটা কী? জীবনের তরে শেষ করে দেবে আমাকে। এই হুমকি-ধমকির মধ্য দিয়েই আমাদের চলতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, জয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইকে কিনে ফেলার চেষ্টা হয়। উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকে একেবারে খতম করে দেয়া। সে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো।

সরকারের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে পড়ার ভয়ে ক্রসফায়ার : খালেদা

স্টাফ রিপোর্টার: গুপ্তহত্যায় সরকারের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে পড়ার ভয়ে দু-একজন প্রকৃত অপরাধী ধরা পড়লেও তাদের ‘ক্রসফায়ারে’ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল শনিবার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত ইফতারে খালেদা জিয়া এই কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি খুনের পর থেকে একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের ধরা হচ্ছে না। খালেদা জিয়া বলেন, ‘দুই-একটা যদি অপরাধী ধরা পড়েও, প্রকৃত অপরাধী কি না জানি না, সেই অপরাধীকেও দেখা যায়, জেলে নিয়ে যায়, তারপর রিমান্ডে, রিমান্ড থেকে আর সে জেলখানায় ফেরত যায় না বা বাবা-মার কাছেও ফেরত যায় না। সে সোজা চলে যায় ক্রসফায়ারে। তার উদ্দেশ্যটা কী? অর্থাৎ সে এমন কিছু তথ্য দিয়ে দেয়, যার সাথে দেখা যাবে তথ্যগুলো বের হলেই সরকার জড়িয়ে পড়বে, সে জন্য তাকে তখন ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া দাবি করেন, সাগর-রুনি হত্যায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের ধরা হলে সরকারের অপকর্ম বেরিয়ে আসবে। এ কারণে তাদের ধরা হচ্ছে না। সাংবাদিক দম্পতির ল্যাপটপে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিলো।

অভিযানে কোনো সন্ত্রাসী ধরা পড়েনি : এরশাদ

স্টাফ রিপোর্টার: সাঁড়াশি অভিযানের নামে রমজান মাসে নিরীহ জনগণকে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। এ অভিযানে কোনো অপরাধী, সন্ত্রাসী ধরা পড়েনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাজধানীর শ্যামপুর বালুর মাঠে গতকাল শনিবার শ্যামপুর-কদমতলী জাপার ইফতার অনুষ্ঠানে এরশাদ এ দাবি করেন।
এরশাদ বলেন, ‘পাশের দেশ আজ আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এক সময় শুনেছি ক্রসফায়ার। এখন বন্দুকযুদ্ধ। এটা কীসের আলামত। তারা কি মানুষ না! বিচার পাওয়ার অধিকার কি তাদের নেই?’ তিনি বলেন, দেশে এত রক্তপাত, এর জন্য পরিবর্তন দরকার। মানুষও আজ পরিবর্তন চায়। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা ও জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, দেশের মানুষ আজ ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নয়। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দায়িত্ব সরকারের, এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে মানুষের ভেতরে ক্ষোভ বাড়বে।