দেশি টুকরো

প্রাথমিকভাবে ৩৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে ইউএস বাংলা 

নেপালের কাঠমান্ডুতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স প্রাথমিকভাবে ৪১ লাখ ৭২ হাজার ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা) দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশন। সাধারণ বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান জানান, প্রাথমিকভাবে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ক্ষতি সামলে ওঠার জন্য বিদেশী বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সংগ্রহ করে ওই অর্থ ইউএস বাংলাকে দেয়া হবে। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে বিদেশী বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সরাসরি ওই অর্থ সংগ্রহ ইউএস বাংলাকে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধাপে ধাপে ইউএস আরও অর্থ দেয়া হবে।

অন্যদিকে দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেয়া প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আহসান বলেন, নিহতদের পরিবার এবং আহতরা কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাবেন, তা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। তবে তাদের বয়স, আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার ভিত্তিতে এ ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত করা হবে। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার যতো দ্রুত সম্ভব ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

বাঁচানো গেলো না শাহীন ব্যাপারীকেও

নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমান বন্দরে ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় আহত শাহীন ব্যাপারীও মারা গেছেন। গতকাল সোমবার লাইফ সাপোর্টে নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে। বিকেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসকরা।

গত ১৮ মার্চ বিকেলে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে শাহীন ব্যাপারীকে দেশে ফেরত আনা হয়। এরপর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গত রোববার ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে শাহীনের দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার হয়েছিলো। গতকাল সোমবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি।

৪২ বছর বয়সী শাহীন ব্যাপারীর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। দেশে তার স্ত্রী কন্যা রয়েছে। তিনি একাই গিয়েছিলেন নেপালে ঘুরতে। গত ১২ মার্চ ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন ৪৯ জন তার মধ্যে বাংলাদেশী ২৬ জন। এবার সেই মৃত্যুর সংখ্যা ২৭-এ দাঁড়ালো।