দামুড়হুদা উপজেলা আদৌ ও কী ভিক্ষুক মুক্ত?

কাগজে কলমে ভিক্ষুকমুক্ত উপজেলা হলেও বাস্তবে নেই

মোস্তাফিজ কচি: আরও একবার প্রশাসনের একটি ভালো উদ্যোগ ব্যর্থ হতে চলেছে। অনেক কয়েক বছর আগে সরকার নিরক্ষরমুক্ত চুয়াডাঙ্গা ঘোষণা করলেও তা যেমন হয়নি তেমনি অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ দামুড়হুদা উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করলেও বাস্তবে তা হয়নি। এখনও দামুড়হুদা উপজেলার সদরসহ কার্পাসডাঙ্গা বাজার ও উপজেলার গ্রামগুলোতে ভিক্ষুকদের ভিক্ষা করতে দেখা যায়। গতকাল সোমবার সকাল থেকেই কার্পাসডাঙ্গা বাজারসহ গ্রামের মধ্যে অর্ধশতাধিক ভিক্ষুককে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। ভিক্ষুকমুক্ত কার্যক্রমের সময় বাজার ঘাটে ভিক্ষুক কম দেখা গেলেও বর্তমানে আগের ন্যায় ভিক্ষুকদের দেখা যাচ্ছে। কার্পাসডাঙ্গা বাজারে কয়েকজন ভিক্ষুকের সাথে দেখা হয়। উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিৎলা গ্রামের মনোয়ারা খাতুন (২৫), গোবিন্দহুদার সাবিনা বেগম (৫০) কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের হালিমা বেগম (৪৫) কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামের আফসার আলী (৫৫) ও কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল গাফফার (৫০) সাথে কথা হলে তারা জানান কোনো কোনো ভিক্ষুককে সামান্য সাহায্য পেয়েছে, আবার কর্মসৃজন কর্মসূচিতে কারও কারও নাম দেয়া হয়েছে কিন্তু কাউকে পূনর্বাসন করা হয়নি। এদিকে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের গোবিন্দহুদা গ্রামের সাবিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের নামের তালিকা করে নিয়ে গেলেও কোনো সাহায্য সহযোগিতা এখনো পায়নি। জীবিকা নির্বাহের জন্য বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করছি।

এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল হাসানেরর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও মোবাইল সংযোগ পাওয়া যায়নি।