দামুড়হুদার সদাবরী গ্রামে পরকীয়া জুটিকে শেকল দিয়ে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় নির্যাতন কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ

 

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার সদাবরী গ্রামে দুজনকে শেকল দিয়ে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে গতকাল শনিবার গ্রামের কতিপয় মাতবর এ কাণ্ড করেন। তাদেরকে নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হননি তারা। শেষমেশ কথিত পরকীয়া জুটিকে অবৈধভাবে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলাধীন সদাবরী গ্রামের নবাবপাড়ার স্বামী পরিত্যক্তা মাসুরা খাতুন (৩৮) ও ফজলুর রহমানের ছেলে শাহাজানকে (৪৫) শনিবার ভোররাতে আটক করা হয়। গ্রামের কতিপয় মাতবর তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তোলেন। এ সময় মাতবরদের নির্দেশে মাসুরা ও শাহাজাহানকে লোহার শেকল দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়। গ্রামের অনেকেই অভিযোগ করেছেন মাসুরা ও শাহাজাহানকে গ্রামের কয়েকজন মারধর করেন। গ্রামের বরকত, আলমগীর, কুতুব, একরামুল, ইয়াকুবসহ বেশ কয়েকজন মারধরে অংশ নেয় বলে গ্রামের বেশ কয়েকজন জানান। তারা বলেন, মাসুরাকে এক পর্যায়ে ছেড়ে দেয়া হলেও শেকল দিয়ে দীর্ঘক্ষণ বেঁধে রাখা হয় শাহাজাহানকে। প্রকাশ্যে জনসম্মুখে কথিত পরকীয়া জুটিকে বেঁধে নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয়নি গ্রামের কতিপয় মাতবর। তারা শেষমেশ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে দুজনকে বিয়ে দিয়ে দেন। শাহাজাহানের ঘরে স্ত্রী-সন্তান থাকার পরও জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ায় গ্রামে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া যারা দুজনকে লোহার শেকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করেছে, তাদের শাস্তির দাবি উঠেছে।