দামুড়হুদার বদনপুর গ্রামে গণধোলাইয়ের শিকার প্রাইভেট শিক্ষক লাভলু হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র চিকিৎসা নিচ্ছে

শিক্ষক লাভলুর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী

 

দামুড়হুদা অফিসঃ দামুড়হুদার বদনপুর গ্রামে গণধোলাইয়ের শিকার প্রাইভেট শিক্ষক লাভলু দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ত্যাগ করে অন্যত্র গোপনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গ্রামে তার বিরুদ্ধে আরও অনেক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, দামুড়হুদার বদনপুর গ্রামের নুহুনবীর ছেলে প্রাইভেট শিক্ষক লাভলু (২৮) সম্প্রতি সরকারি প্রাক- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। সে নিজ বাড়িতে ছোট ছোট ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতো। প্রাইভেট পড়া শেষে সে কৌশলে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে তাকে ধরে গণধোলাই দেয়। প্রথম পর্যায়ে তাকে দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। গ্রামবাসী পুনরায় আক্রমণ করতে পারে এ আশঙ্কায় পরদিন সকালে সে হাসপাতাল ত্যাগ করে অন্যত্র গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে। গ্রামবাসী তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। ইতোপূর্বে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। ৪ মাস জেলহাজতে থাকার পর জামিন পেয়ে আবার সে প্রাইভেট পড়ানো শুরু করলেও তার পুরনো স্বভাব বন্ধ হয় না। সম্প্রতি সে প্রাক- প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে এ খবরটি প্রচার করে যে সে নাপিতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করবে। এতে গ্রামবাসী আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সে ওই স্কুলে যোগদান করলে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেবে বলে গ্রামবাসী জানিয়েছে। তবে দামুড়হুদা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তার নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আসেনি বলে জানা যায়। প্রাইভেট শিক্ষক লাভলুকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেবে এরকমই মন্তব্য করছে গ্রামবাসীর অনেকে।