দামুড়হুদার পাটাচোরা ভৈরব নদীর ওপরে বাঁশের তৈরি ব্রিজ

কার্পাসডাঙ্গা থেকে শরিফ রতন: দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা সুবলপুর তীরধরা দ্বীপে ভৈরব নদীর ওপর বাঁশের তৈরি ব্রিজ নজর কাড়ে পথযাত্রী ও দর্শনার্থীদের। পাটাচোরা গ্রামবাসীর দেড় মাসের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নির্মিত হয়েছে এই ব্রিজটি। দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশের ব্রিজটি হাজার হাজার মানুষের সেবা দিচ্ছে অবিরাম। প্রত্যাশিত গ্রামবাসীর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদী দিয়ে ঘেরা পাটাচোরা গ্রামটি। নানান প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে পাটাচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাটাচোরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মিত হওয়ায় কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপারের খুব অসুবিধার সম্মুখিন হতে হতো। তাই হাল বেয়ে নৌকা ঠেলে পারাপারের আর কতো সময় অপেক্ষার পথ চেয়ে থাকা যায়। গ্রামবাসীর অর্থায়নে অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে তোলে এ শোভাবর্ধনকারী বাঁশের ব্রিজটি। ভৈরব নদীর গুঁড়ি গুঁড়ি জল মাথাভাঙ্গা নদীর বুকে অবলীলায় পাড়ি দিচ্ছে। এ ব্রিজের ওপর দাঁড়ালেই চোখের জ্যোতি ছবি তুলবে হরদম। নিদারুন বৈচিত্রে ছাওয়া সবুজ শ্যামল পরিবেশে প্রকৃতির চাওয়া এখানে নান্দনিক। অপরুপ সজ্জিত তীরধরার মায়াবী স্নেহমাখা পরশ হিমেল বায়ুতে দোল খায় সারাক্ষণ। সাড়ে চার হাত চাওড়া এবং দেড়শ হাত লম্বা এ ব্রিজটি বাঁশ-পেরেকের বুননে আবদ্ধ। ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ যাতায়াত করা মানুষের স্বপ্নের প্রতিফলন দু চোখ মেলে উপভোগ করা যায়।

এলাকাবাসীর সোনামাখা স্বপ্ন বাঁশের ব্রিজটি যদি হয়ে উঠতো কংক্রিটের লোহা পাথরের গাঁথুনিতে তাহলে হাজার হাজার মানুষের ভালোভাবে সেবা দিতে পারতো। তাই পাকা ব্রিজ নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মুখপানে চেয়ে আছে এলাকাবাসী।