দামুড়হুদার ধান্যঘরা হাফিজিয়া মাদরাসার কোষাধ্যক্ষকে আইএস কায়দায় উড়ো চিঠির মাধ্যমে কুপিয়ে হত্যার হুমকি?

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার ধান্যঘরা-দূর্গাপুর হাফিজিয়া মাদরাসার কোষাধ্যক্ষকে আইএস কায়দায় উড়ো চিঠির মাধ্যমে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মাদারাসা কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ওই মাদারাসার ছোট হুজুর হাবিবুর রহমানকে কান ধরে ওঠ-বস করানোর পর মোচলেকা নিয়ে মাদরাসা থেকে বিতাড়িত করেছে। অভিযুক্ত ছোট হুজুর উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ফাজিল মাদারাসার ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি কালিয়াবকরী। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই উড়ো চিঠির মাধ্যমে মাদরাসার কোষাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কালিয়াবকরী গ্রামের ছেলে কার্পাসডাঙ্গা ফাজিল মাদরাসার ছাত্র হাবিবুর রহমান মাস চারেক আগে ধান্যঘরা-দূর্গাপুর হাফিজিয়া মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ওই মাদরাসায় প্রায় দু বছর ধরে চাকরি করে আসছেন আরেক শিক্ষক উপজেলার চাকুলিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমান। হাবিবুর রহমান ওই মাদরাসায় যোগদানের পর থেকে এলাকার লোকজন তাকে ছোট হুজুর এবং হাফিজুর রহমানকে বড় হুজুর বলে ডাকতো। ছোট হুজুর নামে পরিচিত হাবিবুর ওই মাদরাসার কর্তৃত্ব নেয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার মাদরাসার কোষাধ্যক্ষ বর্তমান ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান কাবিলকে আইএস কায়দায় কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। উড়ো চিঠিটি কোষাধ্যক্ষ কাবিলের ধাস্যঘরা কবরস্থান মোড়ে অবস্থিত ফার্মেসির মধ্যে গোপনে ফেলে রাখা হয়। চিঠিতে বলা হয় কাবিল যে দায়িত্বে আছে তা ছাড়তে হবে। না হলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হবে। এ ঘটনায় পরদিন শুক্রবার বিকেলে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির জরুরি সভা কারা হয়। সভায় মাদরাসা পরিচালনা কমিটি বড় হুজুরের নিকট ওই চিঠি জানতে চাওয়া হয়। পরে হাতের লেখা যাচাই করতে গিয়ে ছোট হুজুর অর্থাৎ হাবিবুরের হাতের লেখার সাথে ওই চিঠির লেখার সাথে মিল পাওয়া যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে চিঠি লেখার বিষয়টি শিকার করে নেয় এবং মাদরাসা পরিচালনা কমিটির কাছে এবারের মতো ক্ষমা করার জন্য অনুরোধ জানায়। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কান ধরে ওঠ-বস করানোর পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে মোচলেকা নিয়ে মাদরাসা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ দিকে কথিত ছোট হুজুরের সাথে নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে এলাকাবাসী প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে। বিষয়টির প্রতি পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়ার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়েছে।