দামুড়হুদার ঠাকুরপুরে স্বামী-সতিনের নির্যাতনের বলি হলো জাকিয়া

গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার অভিযোগ : ১ বিঘা জমিতে আপস

 

দর্শনা অফিস/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার ঠাকুরপুর গ্রামে যৌতুকলোভী স্বামী ও সতিনের নির্যাতনের বলি হলো ২য় স্ত্রী জাকিয়া। গলায় ফাঁস লাগিয়ে জাকিয়া আত্মহত্যা করেছে নাকি হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

হত্যার অভিযোগ উত্থাপনের পর লাশ রেখেই আপসের বৈঠক বসানো হয়। স্থানীয়রা এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ১ বিঘা জমির বিনিময়ে অভিযোগকারীদের শান্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে প্রথম স্ত্রী মায়া বানুকে ঘরে রেখেই দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মজিদ পরকীয়া প্রেমে মজে বিয়ে করে একই গ্রামের আফসার আলীর মেয়ে জাকিয়া খাতুনকে। বিয়ের পরপরই প্রথম স্ত্রী মায়া বানুর সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে মজিদের। এরপর থেকেই স্বামী ও সতিন কারণে-অকারণে জাকিয়ার ওপর চালাতো নির্যাতন। অবশেষে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এরই মধ্যে গতকাল শনিবার ভোরে প্রতিবেশী নবিছুদ্দিনের পরিত্যক্ত একটি ঘরের আড়ার সাথে জাকিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় গ্রামের লোকজন। সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় পুলিশ গলায় ফাঁস লাগানো জাকিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পরপরই মজিদ ও মায়া বানু দেয় গা ঢাকা।

এ ঘটনায় জাকিয়ার পিতা আফসার আলী অভিযোগ করে বলেছেন, তার মেয়েকে নির্যাতন শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর অপচেষ্টায় গলায় ফাঁস দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে মজিদ ও তার স্ত্রী মায়া বানু। এ অভিযোগের ভিত্তিতে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে দু পক্ষের মধ্যে চলে দেনদরবার। শুরু হয় দরকষাকষি। দু দফায় বসে আপস-রফা বৈঠক। অবশেষে অভিযুক্ত মজিদ ১ বিঘা জমি জাকিয়ার বাবা আফসার আলীর নামে লিখে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় রাত ৮টার দিকে স্থানীয় গোরস্থানে জাকিয়ার লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। ১ বিঘা জমির বিনিময়ে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা মীমাংশা হওয়ায় সচেতনমহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।