দামুড়হুদার ঐতিহ্যবাহী কার্পাসডাঙ্গা বাজার নানা সমম্যায় জর্জরিত

 

লাখ লাখ টাকা রাজস্ব এলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি

হাসেমরেজা: এ অঞ্চলের আদিব্যবসা  ক্ষেত্র  হিসেবে পরিচিত  দামুড়হুদার ঐতিহ্যবাহী কার্পাসডাঙ্গা বাজার। এ বাজারটি নানা সমম্যায় জর্জরিত। সরকার এ বাজার থেকে ফি বছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব পেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বাজারে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়নি। নানা প্রতিকূলতা  মোকাবেলার মধ্যদিয়ে চলছে ব্যবসায়ী কার্যক্রম। সেই কবে নিশ্চিন্তপুর  নামে বসেছিলো বর্তমানে কার্পাসডাঙ্গা বাজারটি। বাজারের বয়সের সঠিক হিসেবে  কেউ দিতে না পারলেও মূরব্বিরা বলেছেন, শত বছর পেরিয়ে গেছে বাজারের বয়স। স্বাধীনতার পর থেকে কার্পাসডাঙ্গা বাজারটি এলাকার ঐতিহ্যবাহী কার্পাসডাঙ্গা বাজার হিসেবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। বিশেষ করে মাংসের বাজার হিসেবে রয়েছে জেলাব্যাপি সুনাম। শুধু মাংস নয় এ বাজারে বসছে  জেলার সবচেয়ে বড় বাইসাইকেল বিক্রির হাট। ভূষিমাল, কাঁচামাল  থেকে শুরু করে নানা রকমের পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে আমদানি  করা হয়ে থাকে। খোলা আকাশে নিচে বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পূড়েই দোকানিদের রাস্তার ওপর বসেই বেচাবিক্রি করতে দেখা যায়। যে কারণে অল্পতেই জানজটের সৃষ্টি হয়। অহরহ ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। বাজারের অন্তবিহীন সমস্যার মধ্যে রয়েছে- ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ডাস্টবিন না থাকায় যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলায় পরিবেশ নোংরা হচ্ছে। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদেরও জন্য  শৌচাগারের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে যেখানে সেখানেই পশুজবেহ করায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এদিকে বেশ কয়েক বছর থেকে বাজারের ব্যবসায়ী কমিটি গঠন ব্যবস্থা থাকলেও এখনও পর্যন্ত কমিটির নিজস্ব অফিসকক্ষ নির্মাণ করা হয়নি। প্রচুর টাকা সরকারের খাতায় জমা পড়লেও বাজারের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করতে  দেখা যায় না। বাজার কমিটির সভাপতি সিজার বলেন, এই বাজারেটি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। নেই ড্রান, ডাস্টবিন, ল্যাট্রিন, বাজারের ভিতরের রাস্তা না থাকায় চলাচলের ব্যাপক অসুবিধা হচ্ছে। বিষয়টির দিকে সু-নজর দিতে উপজেলা নির্বহী অফিসারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ব্যবসায়ী মহল।