দামুড়হুদার ঐতিহ্যবাহী কার্পাসডাঙ্গার বাজার নানা সমস্যায় জর্জরিত

শরিফ রতন: চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী হাটের নাম কার্পাসডাঙ্গা। ব্রিটিশ আমল থেকে এ হাট বসে আসছে। এ হাটের জমিসহ পাশেই থাকা ব্রিটিশদের অন্যায় অত্যাচারের নীলকুঠির স্মৃতি আজ ম্লান। এ হাট থেকে প্রতিবছর সরকার রাজস্ব পেয়ে থাকে লাখ লাখ টাকা। যার সিংহভাগ ব্রিজমোড় থেকে ইজারাদার খাজনা হিসেবে আদায় করেন। ব্রিজ মোড়েই মাংস, মাছ, কাচাঁমালের বাজার, অসংখ্য মুদিদোকান, কসমেটিক, স্টেশনারি, কাপড়, সার-কীটনাশক, ওষুধ, হোটেল, ফলসহ ছেলুন ও চায়ের দোকান। ব্রিজ পার হয়ে দু পাশে মহাবিদ্যালয় রোডে কাঁচারির বাউন্ডারির দু পাশসহ পুলিশ ফাঁড়ি মার্কেটে এসব দোকান ধীরে ধীরে কালক্রমে গড়ে উঠেছে। দোকানের ওপর দিয়ে বৈদ্যুতিক তার দীর্ঘ ১৮-২০ বছর যাবত সেবা দিতে গেছে পাশে কোমরপুর, মোক্তারপুর, চাঁদপুর ও হাতিভাঙ্গা গ্রামে। বৈদ্যুতিক তার খাম্বা সব থাকলেও ব্রিজমোড় এলাকা বিদ্যুতবিহীন। সন্ধ্যাবাতি জ্বলে মোমবাতিতে। বিদ্যুতলাইন না থাকায় মাংস-মাছের বাজারে মোটরপানির ব্যবস্থা নেই। সকাল-সন্ধ্যা ধোয়া হয় না। ফলে দিন-রাত চরম দুর্গন্ধে থাকতে হয় বাজারে থাকা ও বাজার করতে আসা জনসাধারণকে। গণশৌচাগার না থাকায় দোকানিসহ জনগণকে নানান দুর্ভোগ পোয়াতে হয়। বাসস্ট্যান্ড গড়ে উঠলেও পুলিশ ফাঁড়ি ইট তুলে মার্কেট বানিয়েছে। ফলে বাস, করিমন, আলমসাধু, ভ্যান রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার ওপর যানবাহনের ভিড়ে বাজারের মান চিবিয়ে খাচ্ছে।

যুগ যুগ ধরে চলে আসা পোস্টঅফিসের কোনো বিল্ডিং হলো না, সামান্য বেতনে একজন ব্রিজমোড়ে ওষুধের দোকানে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। বাজারের দোকানিরা মাসিক চাঁদা দিয়ে একজন সুইপার পুষে রেখেছেন। যা ঝাড়ু দিয়ে কোনো রকম পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করে। সাইক্লোন সেন্টার আছে তো পরিষ্কার নেই। বিবেকহীন উঁইপোকার দল বাথরুমের পাইপসহ কাঁচের জানালা কুরে কুরে শেষ করেছে। এসব সমস্যার সমাধানে নেই কোনো সরকারি উদ্যোগ। তাই অচিরেই সরকারি উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ আশা করে এলাকাবাসী।