দাড়ি কামানোর স্বাস্থ্যকর উপায়

 

মাথাভাঙ্গা অনলাইন:

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দাড়ি কামানো অপরিহার্য অনেকের জন্যই। নিজের চেহারা চকচকে করে তুলতে সবারই রয়েছে নিজস্ব পদ্ধতি। দাড়ি কামানোর সঠিক পদ্ধতি কোনটি, সে বিষয়ে জানাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের শেভিং আর্টিস্ট বলে পরিচিত থমাস চিউং ও ত্বকবিশেষজ্ঞ ড. জেফ বিনাবিও

দাড়ি কামানোর আগে প্রথম কাজ হলো মুখ ধুয়ে নেয়া। বাজারে ফেস ওয়াশিং নামে অনেক কিছুই পাওয়া যায়, যা মুখে জমা ময়লা, ঘাম ইত্যাদি দূর করতে সক্ষম। আগে যদি ময়লা দূর করা না হয়, তাহলে তা মসৃণ দাড়ি কামানোয় যেমন সমস্যা তৈরি করে, তেমনি কাটা-ছেঁড়ার বিপদও বাড়িয়ে দেয়। ড. বেনাবিও জানাচ্ছেন কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুতে। এতে চামড়া নরম হয় এবং দাড়ি কামানোর উপযুক্ত অবস্থায় আসে।

থমাস চিউং পরামর্শ দিয়েছেন দাড়ি কামানোর আগে এক রকম তেল মালিশ করতে; যা বাজারে প্রি শেভিং অয়েল নামে পাওয়া যায়। এ তেল দাড়ি নরম করে এবং রেজর ব্যবহারের জন্য মুখের চামড়াকে উপযুক্ত করে। ফলে মুখের বিচিত্র সব স্থানে গজিয়ে ওঠা দাড়িকেও রেজরের নাগালে আনা সম্ভব হয়।

বাজারে এখন অনেক ব্লেডের রেজর পাওয়া যায়। চার বা ছয় ব্লেডযুক্ত রেজর ব্যবহারের দিকেও ঝুঁকছেন অনেকেই। তবে ড. বেনাবিও বলেছেন, তিন ব্লেডযুক্ত রেজরই উত্কৃষ্ট। ভালোভাবে দাড়ি কামানোর জন্য এর চেয়ে বেশি ব্লেডের প্রয়োজন নেই, বরং তা ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে। আর যাদের চামড়া নরম, মুখে এলোমেলো দাড়ি গজায়, তাদের জন্য দুই ব্লেডের রেজরই যথেষ্ট।

ড. বেনাবিও বলেছেন যে ফোম অথবা জেল ব্যবহার করা হয়, তা খানিক উষ্ণ করে নেয়ার জন্য। উষ্ণ করার পদ্ধতি হলো জেল অথবা ফোম উষ্ণ পানিতে ভিজিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই জেল বা ফোম আঙুলে নিয়ে বৃত্তের নিয়মে মুখে মাখাতে হবে। এতে মুখের ক্ষুদ্র ও লুকানো দাড়িতেও জেল পৌঁছে যাবে। থমাস চিউং জানিয়েছেন যদি সম্ভব হয় তাহলে নরম কোনো ব্রাশ দিয়ে জেল বা ফোশ ঘষে মুখে লাগাতে; যেন মুখে একটি পুরু ফেনার আস্তর তৈরি হয়। এতে দাড়ি হবে অধিক নরম। এভাবে মিনিট দুই রাখার পর রেজর ব্যবহার করা যাবে।

আরো কিছু সাধারণ পরামর্শ তারা দিয়েছেন মসৃণ দাড়ি কামতে চান এমন পুরুষদের জন্য। যেমন— রেজর সবসময় পরিষ্কার রাখা ও বেশি দিনের পুরনো রেজর ব্যবহার না করা। উল্টো দিক থেকে দাড়ি না কামানো। দাড়ি কাটার পর ভালো মানের আফটার শেভ ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছেন দুই বিশেষজ্ঞ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *