দর্শনা মেমনগর স্কুলে শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন কমিটি গঠন নিয়ে দর্শনার সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের বিবৃতি

 

দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন কমিটি গঠন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দর্শনা পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। ১৯ আগস্ট মতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে বিপ্র দাসের কীর্তি ধরে শতায়ুর পথে মেমনগর বিডি হাইস্কুল। প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৯৯ বছরে এ স্কুলে সৃস্টি হয়েছে হাজার হাজার রত্ন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসবের আয়োজন চলছে। আয়োজক কমিটিতে বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল ব্যাক্তিবর্গের সমন্বয় করা হয়েছে তা একান্ত ঘরোয়াভাবে করা হয়েছে। প্রাক্তন অনেক ছাত্র এ মত প্রকাশ করেছেন। বিদ্যালয় রত্ন তৈরির কারখানা। এখানে জাত-পাত, ধর্ম-বর্ণ বা দলমতের কোনো পার্থক্য করা যাবে না। এ শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে যত বেশি প্রাক্তন ছাত্রের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে, ততোই এ অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। কারণ এ অনুষ্ঠান ঘিরেই হবে নবীন-প্রবীণদের মিলনমেলা। বিদ্যালয়টি যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন এ এলাকায় অনেক বিদ্যালয়ই ছিলো না। ফলে এলাকার অনেকেই তখন এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। বলা চলে, বর্তমানে এ জনপদের শিক্ষিত প্রবীণরাই এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তাই অবশ্যই ব্যপকভাবে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সকলকে বিষয়টি অবহিত করা প্রয়োজন। কিন্তু দেখা গেছে, গত ১৭ আগস্ট শুধুমাত্র দর্শনায় বসবাসকারী এমন কিছু মানুষকে ডেকে স্বল্প সময়ের মধ্যে শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এভাবে কমিটি গঠনের খবরে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে অনেককেই। কমিটিতে আমার নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। অনুষ্ঠানটি সফল করতে আমার পরিবর্তে এলাকার কোনো প্রবীণ ব্যাক্তিকে অর্ন্তভূক্ত করলে খুশি হবো। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সার্বজনীন। প্রতিষ্ঠানটি কোনো দল, গোষ্টি, জাতি, পারিবারিক বা ব্যাক্তিগত নয়। তাই মুষ্টিমেয় লোক নিয়ে অনুষ্ঠানটি হবে এটা কারো কাম্য নয়। যেহেতু এ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে আজ অনেকে দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। সেই সাথে অনেক বড় বড় পদে অসীন রয়েছেন। যেহেতু তারা এ প্রতিষ্ঠান থেকে লেখাপড়া করেছেন তাই তাদেরকেও এ অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। বিশাল এ কর্মযজ্ঞে পুরোহিত বাবুদের অবশ্যয় চৌকস হতে হবে। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে যারা দর্শনার বাইরে রয়েছেন তাদের নিয়ে ঢাকায় একটি কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। সেই সাথে বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে ছোট ছোট কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রাক্তন ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ করে শতবর্ষ পূতি অনুষ্ঠানে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যেতে পারে। নিম্ন আয়ের অনেক প্রাক্তন ছাত্রই নির্ধারিত অঙ্কের রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদান সাপেক্ষে হয়তো অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তারা যাতে অংশ নিতে পারে সে ব্যাপারে ভাবা উচিত। এ অনুষ্ঠানে আন্তরিকভাবে দলমতের ঊর্দ্ধে থেকে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে তবেই হবে আয়োজকদের স্বার্থকতা। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।