দর্শনাবাসিকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে

 

দর্শনা অফিস: সাংবাদিক চঞ্চল মেহমুদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। হামলাকারিদের শাস্তির দাবিতে অটুট অবস্থানে রয়েছে সাংবাদিকরা। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সকলকে আহ্বান জানানো হয়েছে। হামলাকারিদের শাস্তির দাবিতে দর্শনা প্রেসক্লাবের আয়োজনে করা হয়েছে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মৌন মিছিল। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাব চত্বর থেকে সাংবাদিকরা মুখে কালো কাপড় বেধে বের করে মৌন মিছিল। মিছিলটি দর্শনা বাসস্ট্যান্ড বক চত্বর পৌঁছে করেছে প্রতিবাদ সমাবেশ। দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি হানিফ মণ্ডলের সভাপতিত্বে সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্যকালে বলেন, সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক চঞ্চল মেহমুদের ওপর হামলা ও অপহরণের অপচেষ্টা চালিয়ে থেমে নেই। মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি রেখেছে অব্যাহত। যে কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাংবাদিক চঞ্চল মেহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। হামলাকারিদের মদদদাতাকে চিহ্নিত করে আইনের কাঠ গড়াই দাড় করানোর দায়িত্ব পুলিশের। হামলাকারিরা কতোটা ভয়ানক না হলে পৌর কাউন্সিলর খালেকের ওপর হামলা চালানোর মাত্র ১০ ঘন্টার মাথায় সাংবাদিকের ওপর হামলা চালাতে পারে? এদেরকে এখনি প্রতিহত করা না হলে দিনদিন তাদের অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই যাবে। তাই দর্শনাকে শান্ত করণের লক্ষ্যে ও সন্ত্রানমুক্ত শহর গড়তে ওই হামলাকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোর হতে হবে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয়দের। প্রয়োজনে দর্শনাবাসিকে সাথে নিয়ে হামলাকারিদের স্থানীয়ভাবে প্রতিরোধ করবো আমরা। সমাবেশে বক্তব্য দেন, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নির্বাচন কমিশনার মনিরুজ্জামান ধীরু, এফএ আলমগীর, সহসভাপতি কামরুজ্জামান যুদ্ধ, সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক পিপুল, সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাংবাদিক ইয়াছির আরাফাত মিলন, আব্দুল জলিল, মনিরুজ্জামান সুমন, এসএম ওসমান। ক্লাবের যুগ্মসম্পাদক নজরুল ইসলামের উপস্থাপনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম, নুরুল আলম বাকু, মাহমুদ হাসান রণি, আহসান হাবীব মামুন, জামান তারিক, আজিম উদ্দিন, সাব্বির আলীম, মনজুরুল ইসলাম, রাজিব মল্লিক, জিল্লুর রহমান মধু, মোস্তাফিজুর রহমান কচি, মেহেদী হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন রাজু প্রমুখ। আগামী শনিবার দর্শনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা চুয়াডাঙ্গার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাত করবেন। সাক্ষাতের পর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির।