তৃতীয় শ্রেণির মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় পিতাকে আপহরণের পর নির্যাতনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোহাম্মদ জুমার জাহাবকশোকে বাড়ি থেকে তুলে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। রক্তাক্ত জখম জাহাবকশোকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জাহাবকশো ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে অভিযোগ করে বলেছেন, ‘তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় একই গ্রামের মঙ্গলের ভাগ্নে বিপুল। এ নিয়ে পরশু বুধবার সন্ধ্যায় সালিস হয়। রাত ৩টার দিকে বুরাহান, শহীদসহ তাদের লোকজন এসে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে প্রাইমারি স্কুলমাঠে নির্মমভাবে নির্যাতন করে। এ সময় তারা বলে মেয়ের সাথে বিপুলের বিয়ে দিবি তা না হলে আমাদের টাকা দিবি।’

মনোয়রা বেগম আরো বলেন, ‘পরশু রাত ৩টার দিকে যখন আমার স্বামী জাহাবকশোকে তুলে নিয়ে যায় তখন তাদের বাধা দিতে গেলে আমাকেও ওরা লাথি মেরে আহত করে। স্কুলমাঠে নিয়ে মারধরের পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ৪ জায়গায় কোপও মারে।’ জাহাবকশো বলেন, মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মঙ্গলের ভাগ্নে বিপুল বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে গ্রামে সালিসের আয়োজন করা হয়। গ্রামের মাতবররা জানান, ছেলে মেয়ে দুজনই ছোট। বড় হলে তখন দেখা যাবে। তা ছাড়া মাঠে কাজ করা ছেলের সাথে বিয়ে দিতে রাজিই বা হবো কেন? অথচ রাতে ওরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে বাড়িতে হানা দিয়ে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। জাহাবকশো মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অপরদিকে আমকুড়োতে গিয়ে শিশুকন্যার শ্লীলতাহানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সালিস হয়। তা নিয়েই বিরোধের সূত্রপাত ঘটে। এ কারেণেই মারধর করা হয়েছে। অপহরণের অভিযোগ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বলে সূত্র জানালেও গ্রামের মাতবর ও অভিযুক্তদের মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।