ডাক্তারের চেয়ারে বসে বন্দি প্রায় তিন ঘণ্টা রোগী

চিকিৎসা নিতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রহস্যজনক আচরণ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে সন্দেহেভাজন হয়ে বন্দি থাকতে হয়েছে ৩০ বছর বয়সী কবিরকে। সে টিকিট নিয়ে নির্ধারিত কক্ষে চিকিৎসক না পেয়ে চিকিৎসকের চেয়ারে বসে আয়েশের সময় সন্দেহভাজন হয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটে গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে। ছাড়া পেয়ে কবির যখন বাড়ি চুয়াডাঙ্গার ইসলামপাড়ায় ফেরে ঘড়ির কাঁটা তখন বেলা দুটো।

জানা গেছে, মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে কবির বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ। অনেকেরই মন্তব্য ভ্যাপসা গরমে মস্তিকটা বিগড়ে গেছে। দেড় দু মাস আগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া শুরু করে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের কনসালটেন্ট চিকিৎসকদের অধিকাংশই যখন রাউন্ডে। তখন কবির পৌছায় ২২২ নম্বর কক্ষে। সেখানে চিকিৎসক না পেয়ে ২০৭ নম্বর ঘরে গিয়ে দেখে কেউ নেই। একা ঘরে ফ্যান ঘুরছে দেখে আয়েশ করে বসে চিকিৎসকের চেয়ারে। চিকিৎসক এসে তাঁর চেয়ারে আয়েশ করে বসে একজন ঢুলছে দেখে সন্দেহ করে অন্যদের ডেকে দেখান তাকে। যুবকের অবস্থান রহস্যাবৃত ভেবে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ঠরা কবিরকে ঘরেই আটকে পুলিশে খবর দেয়ার প্রস্তুতি নেন। এরই মাঝে এক চিকিৎসক জিজ্ঞাসাবাদে কথাবার্তায় এবং আচরণে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেন। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা দিয়েই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বাড়ি ফেরার সময় কবির প্রতিবেদককে বলে, এলাম ওষুধ নিতে। আটকে রাখলো ঘরে। চেয়ারে বসেছি বলে চোর চুট্টা বলতেও ছাড়লো না ওরা। হায়রে দুনিয়া!