ডাকবাংলা আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

ডাকবাংলা প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আয়ুব আলী আর চাকরি ফিরে পেতে চান না। তিনি এখন সম্মান নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে চান। মৃত্যুর আগে তিনি সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার দেখে যেতে চান। বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনতে থাকা অধ্যক্ষ আয়ুব আলী এমন কথায় জানালেন। অধ্যক্ষ আয়ুব আলী লিভার সেরোসিস রোগে আক্রান্ত। বিছানায় সর্বক্ষণ মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করেন। আয়ুব আলী জেলার হরিণাকু-ু উপজেলার সোনাতনপুর গ্রামের আজগার আলী ম-লের ছেলে।
জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে তিনি মাগুরা আদর্শ কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ২০১২ সালের ৫ মে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে ডাকবাংলা আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ পান। ২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কলেজ কমিটি তাকে সায়িকভাবে বরখাস্ত করে। সাময়িক বরখাস্ত থাকা অবস্থায় তার শরীরে বাসা বাঁধে এক ঘাতক ব্যাধি। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে দেশ-বিদেশের ডাক্তারদের স্মরণাপন্ন হয়েও ভালো হননি তিনি। গত আড়াই বছরে অধ্যক্ষ আয়ুব আলী সহায় সম্পদ বিক্রি করে ২৪ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। কিন্তু তিনি সুস্থ হননি। সর্বশেষ ভারতের ভেলর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফেবরিক এল ভায়াস তাকে ফেরত পাঠিয়েছেন। ঝিনাইদহ শহরের একটি ভাড়া বাসায় তিনি মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। স্ত্রী ফরিদা খাতুন জানান, স্বামীর চিকিৎসা ব্যয়, সন্তানদের পড়ালেখা ও সংসার খরচ চালাতে গিয়ে এখন নিঃস্ব তারা। ছেলে মুগ্ধ রহমান শহরের কাঞ্চননগর মডেল স্কুলের দশম শ্রেণির ফার্স্ট বয়। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া একমাত্র মেয়ে ফৌজিয়া তাবাসসুম মিমমা পড়ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগে। স্ত্রী ফরিদা খাতুন তার স্বামীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে পুনরায় বেতন ভাতা সরকারিভাবে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিনাত জেসমিন জানান, বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় অধ্যক্ষের যোগদান অনিশ্চিত হয়ে গেছে।