ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে শীর্ষ চরমপন্থি আটক গ্রেফতার : বিপুল অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের ব্যাসপুর থেকে বাদশা লস্কর নামে এক চরমপন্থি দলের শীর্ষ ক্যাডারকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি এসএমজি, একটি ওয়ান শুটারগান ও 108 রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে ৱ্যাব। গত সোমবার রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয় বাদশা লস্করকে। সে ব্যাসপুর গ্রামের এমদাদ লস্করের ছেলে।

ৱ্যাব-৬’র ঝিনাইদহ ক্যাম্প কমান্ডার মেজর সুরুজ মিয়া জানান, তারা গোপনসূত্রে খবর পান বাদশা  অস্ত্রশস্ত্রসহ দলবল নিয়ে ব্যাসপুর গ্রামে অবস্থান করছে। রাত ৮টার দিকে ৱ্যাবের একটি দল ওই গ্রামে অভিযান শুরু করে। বাদশার বাড়ি ঘেরাও করে তাকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। বাদশা চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের একজন শীর্ষ ক্যাডার বলে পুলিশ জানায়। তার বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অসংখ্য অভিযোগ আছে।

দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে এক সময়ে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত বিভিন্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হলেও তাদের কিছু অনুসারী বিভিন্ন সময় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে থাকে। তেমনি এক নিষিদ্ধ ঘোষিত দল বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি। বর্তমানে তাদের দু-একজন অনুসারী অস্ত্র দিয়ে মাঝে মাঝে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলেছে। এই দলের একজন সক্রিয় সদস্য যার নাম রবিউল ইসলাম ওরফে বেড়ে রবি। তাদের নিজস্ব অন্তর্কোন্দলে মারা যায় সে। রবির এক সময়ের সহযোগী বাদশা লস্কর কিছু অস্ত্র নিজের হেফাজতে নেয় এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করে। ৱ্যাব এই বাদশাকে দীর্ঘদিন যাবত অনুসরণ করে আসছিলো। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে সিপিসি-২, ঝিনাইদহ ৱ্যাব ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সুরুজ মিয়া পিএসসির নেতৃত্বে ৱ্যাবের একটি চৌকসদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানাধীন ব্যাসপুর লস্কর পাড়ার মৃত রুস্তম আলী লস্করের ছেলে মিলন হোসেন লস্করের বাড়িতে বাদশা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ অবস্থান করছে। ৱ্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে গ্রামের চাঁদ আলী লস্করের ছেলে বাদশা লস্করকে (৪৭) হাতেনাতে আটক করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি সাবমেশিন গান (এসএমজি), একটি ডাবল ব্যারেল শটগান, এসএমজির ৯৩ রাউন্ড গুলি, শটগানের ১৫ রাউন্ড গুলি ও একটি এসএমজির ম্যাগজিন। আটককৃত বাদশা লস্কর জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে দীর্ঘদিন বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সম্পৃক্ত রবির মৃত্যুর পর সেই স্থানীয়ভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছিলো।