কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের চিত্রা নদীর শতাধিক স্থানে বাঁধ দিয়ে চলছে বিভিন্ন প্রজাতির ডিমওয়ালা মৎস্য নিধন। এতে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে নদীর স্রোত, মারা যাচ্ছে রেনু পোনা এবং মাছের প্রজননেও হচ্ছে সমস্যা। বিষয়টি সম্পূর্ণ অবৈধ হলেও দেখার কেউ নেই।
কালীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান রেজা জানান, নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরা আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। সাধারণত আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে নদীতে পানি বেশি হয়। সে সময় মাছ ডিম ছাড়ে। আর ডিম ছাড়ার জন্য প্রয়োজন হয় স্রোতের। কিন্তু নদীতে যদি বাঁশ ও মশারি দিয়ে বাঁধ দেয়ায় মাছের প্রজননে সমস্যা হয়, রেনু পোনা মারা যায়। লিখা, মস্তবাপুর, ফরাসপুর, বারইপাড়া, সিংগী, গোমরাইল, নগর চাপরাইল, একতারপুর, বনখির্দ্দা, ইছাখালীসহ একাধিক গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে অনেকেই নদীর মধ্যে বাঁধ দিয়ে ডিমওয়ালা মাছ ধরছেন। চাপরাইল গ্রামের নাজমুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর অনেক লোক নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরে। কিন্তু তাদের কিছুই হয় না। এদের জন্য শক্ত আইন দরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, গত বছর ভ্রাম্যমাণ আদালত সোনাতন মালোকে এক হাজার ও বারইপাড়া গ্রামের বুল্লাকে ১ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করে। অথচ জরিমানা দেয়ার কয়েকদিন পর থেকে তারা আবারও নদীতে বাঁধ দেয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মানোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, যারা নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত বছর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বেশ কয়েকজনকে জরিমানা এবং বেশ কয়েকটি বাঁধও উচ্ছেদ করা হয়।
বনখির্দ্দা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাস জানান, বাঁধ দিয়ে মাছ ধরা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এক-দুই হাজার টাকা জরিমানা করে কোনও লাভ নেই। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মানোয়ার হোসেন মোল্যা জানান, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।