জয়রামপুরে প্রতিবেশীর স্ত্রীর মধুপান করতে গিয়ে শামসুল মেম্বার জনতার হাতে আটক

গণধোলাই শেষে পুলিশে সোপর্দ : জেলহাজতে প্রেরণ

 

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার শামসুল মেম্বার প্রতিবেশী ইটভাটা শ্রমিকের স্ত্রীর সাথে রঙ্গলীলা করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে। বেরসিক জনতা তাকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় ভাটাশ্রমিক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত বিএনপি নেতা শামসুল মেম্বারকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। গত বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানান, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার আনছার আলীর ছেলে মাহাবুল (৩৫) একজন ভাটাশ্রমিক। সে পুড়াপাড়াস্থ লাভলু মিয়ার ইটভাটার পোড়ায় মিস্ত্রি। কাজের স্বার্থেই তাকে রাতে ভাটায় অবস্থান করতে হয়।

এদিকে ভাটা শ্রমিক মাহাবুলের স্ত্রী দু সন্তানের জননী নারগিছ (৩০) প্রতিবেশী আবুল হোসেনের ছেলে বিএনপি নেতা শামসুল মেম্বারের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে প্রায় রাতেই তারা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতো। ভাটাশ্রমিক মাহাবুল অন্যান্য দিনের ন্যায় গত বুধবার রাত ৮টার দিকে ইটভাটায় কাজ করতে চলে যায়। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে রাত ১০টার দিকে শামসুল মেম্বার নারগিছের ঘরে ঢোকে এবং রঙ্গলীলায় মত্ত হয়। এ সময় পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা স্থানীয় বেরসিক জনতা ওই দুজনকে এক ঘরে আটক করে এবং গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরদিন সকালে নারগিছের স্বামী বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত শামসুল মেম্বারকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

এলাকাবাসী আরো জানান, লম্পট শামসুল মেম্বার মাহাবুলের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে নারগিছের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে মাহাবুলের স্ত্রী নারগিছ ও লম্পট শামসুল মেম্বার প্রায় রাতেই রঙ্গলীলায় মত্ত হতো। এতোদিন তাদের হাতেনাতে ধরতে না পারায় শামসুল মেম্বারকে কেউ কিছু বলতে সাহস পেতো না। এলাকার বেশ কিছু বেরসিক জনতা অভিযুক্ত শামসুল মেম্বারকে ইঙ্গিত করে বলেন, তার ৪ স্ত্রী। তাতেও তার হয় না? তার লাগে কতো?