জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে হাওরের কালো মাটি

 

স্টাফ রিপোর্টার: সুমানগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওরে কালো মাটি উত্তোলন করে অনেকেই বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন। উপজেলার বৃহত করছার হাওরে বেকাবান্দ, সিংগীর দাইড়ের পাশে, আবুয়া নদীর পাড়, সলুকাবাদ ইউনিয়নের জিনারপুর, রামপুর, মনিপুরী হাটি, চলতি নদীর পাড় ইত্যাদি এলাকার ডোবা, খালে প্রচুর পরিমাণ কালো মাটি পাওয়া যায়।

হেমন্তে হাওরের এ সমস্ত ডোবা, নালা থেকে এলাকার লোকজন কালো মাটি উত্তোলন করে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন। অনেকেই নিজের চাহিদা মিটিয়ে জ্বালানি হিসেবে বিক্রি করে লাভবানও হচ্ছেন। হেমন্তে অনেক নারী-পুরুষ হাওর থেকে কালো মাটি উত্তোলন করে শুকিয়ে জ্বালানি তৈরি করেন। বিশ্বম্ভরপুর গ্রামের সবুজ নাহার ও বিরোজা বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা কালা মাটি তুইল্লা তা হাত, পাউ দিয়া কাদার মতো মাকাইয়া নরম করে ছোট ছোট ছটা (টুকরা) বানাইয়া রইদে শুকাইয়া বাড়িতে নিয়ে রান্নার কাজে লাকড়ি হিসেবে ব্যবহার করি’। ফুলবাড়ী গ্রামের আবুল হোসেন ও বিশ্বম্ভরপুর গ্রামের আকবর বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবত এলাকার অনেক লোকজন কালো মাটি উত্তোলন করে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে। হেমন্তে প্রচুর পরিমাণ এ কালো মাটি তুলে পুরো বর্ষায় ব্যবহার করা হয়। বায়পুর গ্রামের রাজেশ বর্মন, সুরভী বর্মন ও ইন্ডজিত বলেন, এ এলাকায় গাছ ও বন জঙ্গল কম থাকায় আমাদের রান্নার কাজে লাকড়ির অভাব রয়েছে। তাই কালো মাটি অনেকটাই জ্বালানির চাহিদা মেটাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, অতীতে হয়তো ভূমিকম্পের ফলে প্রচুর গাছ পালা বন, জঙ্গল মাটির নিচে চাপা পড়ে এ সমস্ত কালো মাটির সৃষ্টি হয়েছে।