জীবননগরে যুবলীগের বর্ধিতসভায় নেতাদের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়লেন কর্মীরা

জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা যুবলীগের বর্ধিতসভা গতকাল বুধবার উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ধিতসভায় আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মাঠ পর্যায়ের যুবলীগকর্মীরা। উঠে এসেছে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ যুগ্মআহ্বায়ক বাহারুল হায়াৎসহ অন্যান্য ঘটনায় বিচার না পাওয়া প্রসঙ্গ। বলেছেন দলের শীর্ষ নেতাদের রোষাণলে পড়ে নিগৃহীত হওয়ার কথা। কর্মীদের পর বক্তব্য দিতে উঠে নেতারাও তাদের সুরে সুর মিলিয়েছেন। তুলে ধরেছেন ক্ষমতার শীর্ষে থাকা নেতাদের অসহযোগিতার কথা। তাদের ইশারা ইঙ্গিতে ত্যাগি নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলার কথা। চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনের সার্বিক চিত্রও তুলে ধরা হয় সভায়। কর্মীদের এমন ঝাঁঝালো বক্তব্যে মঞ্চে উপবিষ্ট যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ছিলেন অনেকটা নির্বিকার। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মৃনাল কান্তি জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, যুগ্মআহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবীর, যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম আসমান, আব্দুল কাদের, আব্দুর রশিদ, সুমন। অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে আগামী দিনে যুবলীগকে মূল্যায়ন ও সঠিক পথে পরিচালিত করার সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক জীবননগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজের সভাপতিত্বে ও যুগ্মআহ্বায়ক আব্দুস সালাম ইশার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিতসভায় উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উপজেলা যুবলীগের শিপলু মণ্ডল, উথলীর অ্যাড. শামসুল আরেফিন ভূট্টো, মহিবুল ইসলাম, মীজা লিটন, বাঁকার বাবুল আক্তার, সীমান্তের সেকেন্দার আলী, পৌর যুবদলের শরিফুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, দিপু বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের বর্তমান কর্মকাণ্ড নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দেশের যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামে যুবলীগ নেতাকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এলেও তাদেরকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। চরম অবহেলার কারণে দলে নতুন কর্মীর সংখ্যা সেইভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। ফলে মাঠ পর্যায়ের যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়।