জমি লিখে নেয়ার অভিযোগ নিয়ে বিরোধ : গলায় ফাঁস দেয়ার পর হাসপাতালে নিয়েও বাড়ি ফেরানোর রাতে মৃত্যু : দাফন

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গা ভাংবাড়িয়া পশ্চিমপাড়ার আজির বকশের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়ার পর পরশু রাতে রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করার কারণে আজির বকশের কিছু প্রতিবেশীসহ কয়েক মেয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বলেছে, এ মৃত্যুর আড়ালে রহস্য থাকলেও একমাত্র ছেলে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের মধ্যদিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামের মৃত কিয়ামুদ্দিনের ছেলে আজির বকশের রয়েছে ৪ মেয়ে ১ ছেলে। ৬০ বছর বয়সী আজির বকশ গত বুধবার ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেন। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়া হয়। ওইদিন রাতে তিনি মারা যান। এর আগে থেকেই আজিবর বকশের মেয়েদের অভিযোগ, তাকে তার একমাত্র ছেলে আলমডাঙ্গায় নিয়ে কৌশলে জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেয়। এরপর বাড়ি ফিরে আজির বকশর সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করলে তিনি আত্মহত্যার জন্য গলায় ফাঁস দেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে সুস্থ করে বাড়ি ফিরলেও কেন তিনি মারা গেলেন? এ প্রশ্নের জবাব খোঁজার আগেই লাশ দাফন করার কারণে নানা প্রশ্ন দানা বেধেছে।