ছাত্রলীগ নেতার হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে শিবির

মাথাভাঙ্গা অনলাইন : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ধরমপুর পূর্ব পাড়ায় রাস্তার ওপর এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সঙ্গে থাকা অপর এক ছাত্রলীগ নেতাও গুলিবিদ্ধ হয়।
আহত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। তিনি রাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
গুলিবিদ্ধ অপর ছাত্রলীগ নেতার নাম তুফান। আহতদের গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অটোরিকশায় ক্যাম্পাস থেকে ধরমপুরে ব্যক্তিগত কাজে যায় শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম, কাওসার আহমেদ কৌশিক ও সাবেক রাবি ছাত্রলীগ নেতা তুফান। কাজ শেষে দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে ফিরে আসার সময় ধরমপুর পূর্বপাড়ায় তাদের অটোরিকশার গতিরোধ করে পাঁচ থেকে ছয় জন শিবির কর্মী। কোনো কথা না বলেই তারা সাদ্দামকে টেনে রাস্তার ওপর ফেলে তার দুই হাত, দুই পা ও দুই ঘাড়ের রগ কেটে দেয়। এ সময় তার মাথায় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় তুফানের বাম পায়ে একটি গুলি করে পালিয়ে যায় তারা।পরে এলাকাবাসীরা আহত অবস্থায় সাদ্দামকে উদ্ধার অটোরিকশাযোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই স্থান থেকে তুফান পালিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের খরবটি জানায়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা আরেক ছাত্রলীগ নেতা কৌশিককে কোনো আঘাত করেনি শিবিরকর্মীরা।
কাওসার আহমেদ কৌশিক বলেন, “আমাদের অটো থামিয়ে শিবির ক্যাডাররা সাদ্দামকে চিনতে পেরে তাকে নামিয়ে নেয়। ভয়ে আমরা একটু দূরে অবস্থান নিলে তারা আমাদের উদ্দেশ করে গুলি ছোড়ে। এতে তুফানের বাম পায়ে হাটুর নিচে গুলি লাগে।”
রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বলেন, “শিবিরের কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে। অবিলম্বে সাদ্দামের ওপর হামলকারী শিবির ক্যাডারদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।”
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবদুস সোবহান জানান, কারা এই হামলা চালিয়েছে তা এখনও আমরা জানতে পারিনি। আহতদের মধ্যে থেকে সাদ্দামকে পুলিশের ভ্যানে করে মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে ওই এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।