চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যার অপচেষ্টা : ধাক্কায় গুরুতর আহত গোপালের মরার আকুতি

 

স্টাফ রিপোর্টার: ষাট বছরের গোপাল শিকদার এখন মরতে চান। ছিটকাপড় ফেরি করে ছেলেমেয়েদের বড় করলেও বৃদ্ধ বয়সে তথা জীবনের পড়ন্ত বেলায় বড্ড বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সে কারণেই নিজের জীবন নিজেই নেভাতে চেয়েছিলেন গতরাত পৌনে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার স্টেশনে।

ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসযোগে তিনি যশোর থেকে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছে একই ট্রেনে কেটে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালান। অল্পের জন্য ট্রেনে কাটা না পড়লেও ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছেন। আহত গোপাল শিকদার প্রথমে পরিচয়ই দিতে চাননি। পরে বলেছেন তার বাড়ি যশোর সিটি কলেজপাড়ায়। ৪ ছেলে ১ মেয়ে। ছিট-কাপড় ফেরি করে খুব কষ্টে ছেলেমেয়েদের বড় করেছি। মেয়েকে বিয়েও দিয়েছি। বড় ছেলে লিটনের কাছেই থাকতাম। মেজ ছেলে তপন চাকরি করে। এক ছেলে থাকে ঢাকায়। কেউই খোঁজ রাখে না। সংসারে উল্টো কথা শুনতে হয় বলেই বাড়ি থেকে বের হয়ে সুন্দরবন ধরে চুয়াডাঙ্গায় এসে মরতে চেয়েছি। ট্রেনে কেটে মারা যাওয়ার জন্যই ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। মরতে চাই, আমাকে এক বোতল বিষ দিন, বিষ খেয়ে মরতে চাই আমি।

গোপাল শিকদার স্বর্গীয় অমৃত শিকদারের ছেলে। তিনি তার বাড়িতে যোগাযোগের মতো কোনো মোবাইলফোন বা অন্য কোনো নম্বর দিতে চাননি। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।