চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়ার দুদল যুবকের বিরোধ তুঙ্গে

নেপিথ্য রহস্যাবৃত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাগরকে মারধরের সময় মিথুনকে হোটেল অবকাশে নিয়ে নির্যাতন 

 

স্টাফ রিপোর্টার: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাগরকে মারধর করছে খবরে মিথন নামের এক যুবককে ধরে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার মিথুনকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা মোড়ের অদূরবর্তীস্থানের হোটেল অবকাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়ার রবিউল হকের ছেলে এক সময় ছাত্রলীগের টুটুলের সাথে ঘুরতো। কয়েক মাস আগে টুটুল চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজ মোড়ে খুন হয়। সাগর ঢাকায় পাড়ি জমায়। সে ঈদে বাড়ি আসে। গতপরশু সোমবার বিকেলে তাকে দামুড়হুদার পুড়োপাড়ায় নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সাগর জানায়, তাকে সুমিরদিয়া এলাকা থেকে ধরে নিয়ে পোড়াপাড়া মোড়ের অদূরে মারধর করে কাছে থাকা টাকা পয়সা কেড়ে নেয় সিঅ্যান্ডবিপাড়ারই সোহেল, মিঠুন, তারেকসহ তাদের লোকজন। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গতকাল হাসপাতালে আবার সাগরের ওপর হামলা এবং হামলাকারীকে ধরে নিয়ে হোটেলে আটকে নির্যাতনের পর নেপথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে। কেউ কেউ বলেছে, ঘটনার আড়ালে গোলমেলে ব্যাপার রয়েছে। পুলিশের আচরণও খানেকটা রহস্যজনক।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাগরের শয্যায় গিয়ে মিথুন আবার সাগরকে মারধর করতে থাকে। খবর পেয়ে ছাত্রলীগেরই কয়েকজন হাসপাতাল থেকে মিঠুনকে ধরে পুলিশে দেয়ার কথা বলে। হোটেল অবকাশে নিয়ে নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে চুযাডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ হোটেল অবকাশ থেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। সাগর ও মিথুন একই ওয়ার্ডে পাশাপাশি বিছানায় চিকিৎসাধীন। মিথুন বলেছে, আমি আমার খালাতোভাইকে হাসপাতালে দেখতে এসেছিলাম। ছাত্রলীগের তারেক ও তার দলবল আমাকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করেছে।