চুয়াডাঙ্গা সার্কেল অফিসের বকসি হাফিজ আলমডাঙ্গার সোনাতন থেকে পালিয়েছে

মহিলাকে ধরে পিটুনির পর পুলিশে দিয়েছে জনতা : বকসি হাফিজ ক্লোজড?

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি/ঘোলদাড়ি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের সোনাতন গ্রামের একটি বাড়িতে মধ্যবয়সী মহিলা নিয়ে অবস্থানকালে জনতার হাতে ধরা পড়েছেন চুয়াডাঙ্গা সার্কেল অফিসের কম্পিউটার অপারেটর বকসি হাফিজ। অবস্থা বেগতিক দেখে গায়ের গেঞ্জি ও মোটরসাইকেল ফেলে ভোদৌড় দিয়ে পালিয়েছেন। গ্রামবাসী মহিলাকে আটকে রেখে গণধোলাই দিয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ ব্যাপারে বকসি হাফিজকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানা গেলেও তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

সোনাতনের সাধারণ মানুষ জানিয়েছে, গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনাতন গ্রামের আবু তালেবের ছেলে নজরুলের বাড়ির শোবার ঘরে চুয়াডাঙ্গা সার্কেল অফিসের কম্পিউটার অপারেটর বকসি কনস্টেবল হাফিজ ও চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার সাইফুলের স্ত্রী তাসলিমাকে (৩৮) আটক করে জগণগ। এ সময় বকসি হাফিজ অবস্থা বেগতিক দেখে নিজের গায়ের গেঞ্জি ও মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। গ্রামবাসী তাসলিমাকে আটক করে পিটুনি শেষে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে সোপর্দ করে। গ্রামবাসীর অভিযোগ. নজরুলের স্ত্রী মর্জিনার বাড়িতে বকসি হাফিজ ও তাসলিমা রঙ্গলীলায় মত্ত হয়। বেরসিক জনতা তাদের অর্ধ দিগম্বর অবস্থায় আটক করলে হাফিজ গায়ের গেঞ্জি ও নিজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। গ্রামবাসী তাসলিমাকে আটক করে গ্রামের ক্যানেলের পাশে একটি বাঁশবাগানে আটকে রেখে গণধোলাই দেয়। দুপুর ২টার পর সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার সেকেন্ড অফিসার মকবুল, এসআই টিপু সুলতান, এসআই জিয়াউর রহমান, এসআই জসিম, ঘোলদাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাসলিমাসহ কনেস্টেবল হাফিজের মোটরসাইকেল উদ্বার করে থানায় নেন। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশসূত্র জানায়, হাফিজকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ ব্যাপারে নজরুলের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিতে গেলে বাড়িতে কোনো লোকজন পাওয়া যায়নি। তাদের বক্তব্য নেয়াও সম্ভব হয়নি।