চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ির একটি বাড়িতে প্রতিবেশী যুবকের প্রবেশ : দরজা আটকে থানায় খবর

পুলিশ হেফাজতে পরকীয়া জুটি : পঞ্চম স্ত্রীর দাবি স্বামীর ষড়যন্ত্র

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: ৫ম স্ত্রী শেফালী আক্তারের নামে দেয়া চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ির বাড়িটি ফেরত পেতেই স্বামী আনোয়ার হোসেন স্থানীয়দের দিয়ে চক্রান্ত করছে। গতকাল সন্ধ্যার পর শেফালী আক্তার (২৮) ও রোকনুজ্জামান রোকনকে (২০) স্থানীয়রা আটকে পুলিশে দিলে শেফালী চক্রান্তের এ অভিযোগ তোলে। তবে স্থানীয়রা বলেছে, রোকনের সাথে শেফালীর পরকীয়া অনেক পুরোনো। জানে না কে?

শেফালী আক্তার অভিযোগ করে ক্ষোভের সাথে বলেছেন, যে স্বামী তার প্রথম ৪ স্ত্রীর কথা গোপন রেখে নানা প্রলোভনে বিয়ে করে, সেই স্বামী আমার অর্থাৎ ৫ম স্ত্রীর কথাও গোপন রেখে আবারও বিয়ে করেছে। যার স্ত্রীর সংখ্যা হাফ ডজন, তার চক্রান্ত ষড়যন্ত্র যে কতো বড় হতে পারে তা সাধারণ মানুষ বুঝবে কীভাবে?

শিউলীর স্বামী আনোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একাধিক বিয়ের কথা স্বীকার করলেও ষড়যন্ত্র ও অতো বিয়ের বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমি ঢাকায় থাকি। চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়িতে স্ত্রী শিউলী পরপুরুষ নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলো। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।

পুলিশ বলেছে, চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ি নতুনপাড়ার বাড়িতে শেফালী আক্তারের বাড়িতে একই পাড়ার আনিছুর রহমানের ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন সন্ধ্যায় প্রবেশ করে। এর পর বাড়ির বাইরে থেকে দরজা আটকে পুলিশে খবর দেয়া হয়। রোকনুজ্জামান ও শেফালী খাতুনের বিরুদ্ধে স্থানীয় কিছু যুবক তাৎক্ষণিকভাবে অসামাজিক কাজের অভিযোগ উত্থাপন করে। পরিস্থিতি সামলাতে শেফালী আক্তার ও রোকনকে থানায় নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত চলছে। দু পক্ষের মুখে দু রকম তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজি মোহাম্মদ ইব্রাহিম নিজেই বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন।

তথ্য দিতে গিয়ে শেফালী আক্তার বলেছেন, আমার পিতার  বাড়ি সাতক্ষীরায়। আর ওই আনোয়ার হোসেনের বাড়ি আলমডাঙ্গার বকশিপুরে। আমার এক দুলাভাইয়ের সাথে আনুমানিক ১২ বছর আগে আমাদের বাড়িতে যায়। তার প্রথম ৪ স্ত্রীর কথা গোপন করে নানা লোভ দেখিয়ে বিয়ে করে। এরপর যখন অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ি তখন পূর্বের স্ত্রীর কথা স্বীকার করে। আমাকে চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ির নতুনপাড়ায় বাড়ি করে দেয়। ঘরে আসে ৩ সন্তান। তিন বছর আগে আবারও বিয়ে করেছে আনোয়ার। ৬ষ্ঠ বিয়ের পর আমাকে ছেড়ে দিতে চায়। বাড়ি জমিও হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করতে থাকে। আমি আমার তিন সন্তানকে নিয়ে সংগ্রাম করেই বেঁচে আছি। আর ওই রোকনুজ্জামান আমার সংসারের কিছু হুকাম হাকাম শোনে। সন্ধ্যার সময় আমাদের বাড়িতে ঢোকার সাথে সাথে কিছু লোক বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়ে পুলিশে খবর দেয়।

শেফলী খাতুন আরো বলেছে, হেকেমি চিকিৎসা আর নানা নামের ওষুধ বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করে বলেই তো ওর অতো টাকার গরম। অথচ আমার তিন সন্তানকে সে দীর্ঘদিন ধরে দেখে না। খরচ দেয় না। আমি যখন আমার বাড়িতে এটা ওটা করি। ওই রোকনের সহযোগিতা নিই, তখন তাকেসহ আমাকে ধরিয়ে দিয়ে স্থানীয়রাও মজা দেখছে। তবে স্থানীয় অধিকাংশ বলেছে শেফালীর সাথে রোকনের পরকীয়া সম্পর্ক বিষয়টি অনেকদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। স্বামী থাকে ঢাকায়। শুধু কি তাই? স্বামীর বয়সও প্রায় ৭৫ পার। পরকীয়া ছাড়া কি আর উপায়!