চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জ এলাকার ত্রাস গ্রেফতারের খবরে এরাকায় স্বস্তি ফিরলেও রয়েছে প্রশ্ন-বোয়ালিয়ার ওহিদুলের অস্ত্র ভা-ারটি কোথায়?

 

 

স্টাফ রিপোটার: চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ এলাকার ত্রাস বোয়ালিয়ার ওহিদুল গ্রেফতারের পর এলাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও তার অস্ত্রভা-ার নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। স্থানীয়দের অনেকে এ মন্তব্য করে বলেছেন, পুলিশ আন্তরিক হলে ওহিদুলের অস্ত্রভা-ারের যেমন খোঁজমিলতে পারে, তেমনই মুখোশ খুলতে পারে তার গডফাদারের। গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরোজগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ সরোজগঞ্জ বাজারের কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে ওহিদুল ওরফে ওহিদকে গ্রেফতার করে।

এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের গাং পাড়ার আয়ূব আলীর ছেলে ওহিদুল ওরফে ওহিদ তার আপন ভাই শহিদুল ইসলাম ছিলো এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী বিগত ১৯৯৬ সালে আ.লীগ সরকারের আমলে সরকারের বিশেষ ক্ষমতায় আত্মসমর্পণ করে আনছার বাহিনীতে চাকরি পায়। গ্রামে জনশ্রুতি উঠে, ওই সময় শহিদুলের অস্ত্র ভা-ার চলে আসে তারই ভাই ওহিদুলের হাতে। কিছুদিন পরই ওহিদের অপতৎপরতা এলাকাবাসীর দৃষ্টিতে পড়ে। মাঝে বেশ কয়েক বার চাঁদাবাজি, হত্যা ও অপহরণ মামলায় গ্রেফতার হলেও তার অস্ত্র ভা-ারটি থেকেই যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। জামিনে মুক্ত হয়ে ফের গডফাদারের সহযোগিতায় এলাকায় সৃষ্টি করে ত্রাস। ওহিদুল গ্রেফতার খরব শুনে এলাকায় স্বস্তি ফিরলেও তার গ্যাংয়ের অন্য সদস্যদের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ এখনও জড়সড়ো। এলাকাবাসীর দাবি ওহিদুলের অস্ত্রভা-ার খুঁজে বের করা ও সহযোগীদের গ্রেফতার করে এলাকার সন্ত্রাস মুক্ত করা।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ দশমির সোহেল অপহরণ হলে সাবেক কুতুবপুর ইউপির এক চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এই ওহিদুল। এছাড়া শিবপুরের মামা ভাগ্নে অপহরণের মুক্তি পন নেয়ার সময় হাতে নাতে ঝিনাইদহ  হরিণাকু-ু থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। সেই মামলায় ৩ মাস আগে ঝিনাইদহ জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আবার ও সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কার্যকালাপ চালিয়ে আসছিলো।