চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৬ তম প্রয়াণ দিবস ও কৃতী ছাত্রীদের সংবর্ধনা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৬ তম প্রয়াণ দিবস পালন করা হয়েছে। একই সাথে কৃতী ছাত্রীদের সংবর্ধিত করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৯টায় কলেজ মিলনায়তনে এসব অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
সরকারি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপাধ্যক্ষ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য সাবেক পৌর চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সুলতানা জান্নাতুল ফেরদৌস।
এ সময় চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক এইচএসসি পরীক্ষায় কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবী ছাত্রী রাখি খাতুন, ভালো ফলাফলের জন্য মানবিকের মৌলি খাতুন, বিজ্ঞান বিভাগের জান্নাতুল ফেরদৌস, কানিজ ফাতেমা ও সুমাইয়া আক্তার, বানিজ্য বিভাগ থেকে তারানা তানিয়া ও নাহিন সুলতানা কুমকুমকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, রবীন্দ্রনাথের বাণীকে ধারণ করে নিজেদের জীবনকে সমৃদ্ধ করতে হবে। তিনি দুদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা। ১২টি উপন্যাস লিখেছেন এবং অসংখ্য কবিতা রচনা করেছেন। ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, কোচিং চলবে না। পার্কে ভ্রমণ করবে না। সামনে পরীক্ষা এসব বাদ দিতে হবে। আগে লেখাপড়া করতে হবে এবং মানুষ হতে হবে। পিতা-মাতা ও সমাজের উন্নতি করতে হবে। আত্মহত্যা ও বাল্যবিয়ে নয়। নিজেদের সংযত হতে চেষ্টা করতে হবে। আদর্শ মহিলা কলেজ শুধুমাত্র চুয়াডাঙ্গার মধ্যে নয়, দেশের মধ্যে স্বগর্ভে ভরে উঠুক এটাই আশা করবো।
সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের সন্তানরা এই কলেজের লেখাপড়া করে। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি এই কলেজে আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করাতে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে যারা ক্লাশ করবে না, তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এখন থেকে ছাত্রীরা বিষয়টি মনে রাখবে। আলোচনা শেষে কলেজের ছাত্রীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।