চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারা দেশে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট বিক্ষোভ

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবি : তিন দিনের হরতাল পালনের আহ্বান

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারা দেশে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গার পৃথক পৃথক স্থান থেকে পৃথক অংশের বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মেহেরপুর জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ছিলেন আমঝুপিতে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি আলমডাঙ্গার যুবদল নেতা বল্টুর স্মরণ সভায় অংশ নেন।

pic-1

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ব্যনারে মনোনয়ন প্রত্যাশী লে.কর্নেল কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিএনপির একাংশের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করলে পুলিশি বাধারমুখে পড়ে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবি ও গত হরতালে পুলিশি নির্যাতন গ্রেফতারের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে আগামি কাল ৪ নভেম্বর থেকে তিন দিনের হরতাল পালনেরও আহ্বান জানানো হয়। ( …. পাতায় দেখুন)

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে আলমডাঙ্গায় ১৮ দলের বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অহিদুল গ্রুপের উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত ওই বিক্ষোভ মিছিলটি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র মীর মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন লাড্ডু চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা জামায়াতের উত্তরাঞ্চলের আমির, ডা. আহমেদ জালাল, পৌর আমির আব্দুল জলিল, পৌর নায়েবে আমির নজরুল ইসলাম, ওলামা দলের সভাপতি বিল্লাল মেম্বার।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়ুব হোসেন, পৌর বিএনপির সহসভাপতি মোশারেফ হোসেন, জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান রকনুজ্জামান, আইলহাস ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন, ডাউকী ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী, কামরুজ্জামান বকুল, মানোয়ার হোসেন, ঝন্টু মালিথা, শহিদুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন, কাজী সাচ্চু, হাসিবুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, সুজন, মনির, মুন্না, তানিম, মিজান, সেলিম, রফিকুল মেম্বার, হুমায়ুন, নাসির মেম্বার, মাহাবুল মেম্বার, ফরহাদ, শরিফুল, কোরবান, ইকদুল মেম্বার, আব্দুল খালেক, লালন ফকির, হারুনুর রশীদ, রশিদুল, ছাত্রদল নেতা মুন্না, রাজু, ফারুক, হাসান, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সামসুল আবেদীন, শিবির নেতা হারুনুর রশীদ, বকুল, তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপি একাংশের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি গতকাল বিকেল ৪টার দিকে কোর্ট মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কোর্ট মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল হালিম হিরু। সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আব্দুল খালেকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রউফুন নাহার রীনা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মনি, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. হেদায়েত হোসেন আসলাম, পৌর বিএনপির সহসভাপতি আওরঙ্গজেব বেল্টু, দামুড়হুদা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সদর উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক নুরগণি, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আরিফ হোসেন (জোয়াঃ) সোনা, পদ্মবিলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু তাহের মণ্ডল, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরনবী সামদানি, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান, মোমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইবাদত হোসেন, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, মমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, পদ্মবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রায়হান কাজল, বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশাবুল হক প্রমুখ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পূনর্বহালসহ সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা ও খুন-গুমের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে শহরের পান্না সিনেমা হলের সামনের জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটির নেতৃত্ব দেন চুয়ডাঙ্গা জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা (পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে প্রাণে বেঁছে যাওয়া) লে. কর্নেল (অবঃ)  সৈয়দ কামরুজ্জামান।

বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের কোর্ট চত্বর পৌঁছুলে পুলিশ মিছিলটিতে বাধা দেয়। পরে পুলিশী বাধার কারণে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে তারা। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল ওহাব মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা লে. কর্নেল (অবঃ)  সৈয়দ কামরুজ্জামান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এখনও সময় আছে জনগনের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি মেনে নিন। দেশ সংঘাতের দিকে যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে দায়ী করে তিনি বলেন, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই তত্ত্বাবধায়ক চায়। শুধু চায় না আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের এ একগুয়েমি দেশের সাধারণ মানুষ কখনো ক্ষমা করবে না উল্লেখ করে কামরুজ্জামান বলেন, এখনও সময় আছে জনগণের দাবি মেনে নিন। নয়তো পালানোর পথও খুঁজে পাবেন না। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এবিএম হাসান হাসু, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলী হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুর জব্বার সোনা, যুবদল নেতা মফিজুর রহমান মনা, শরিফুল আলম, মনিরুজ্জামান লিপটন, বিএনপি নেতা শহর আলী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা তানজিলুর রহমান, সাইদুর রহমান, জাহিদ টিপু, নজরুল বিডিআর, জালাল বিডিআর, হেলাল, মান্নান মেম্বার, খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রবিউল ইসলাম, লিয়াকত আলী, মজিদ, জয়নাল, রাজ্জাক, মিলন রেজা, রনি, রতুন, রুবেল, মিলু, আফতাব উদ্দীন, ২ নং ওয়াড সভাপতি মিন্টু, ইউনুছ মেম্বার, মফি, জসিম, দিপু, কাজল ইয়াকুব ও আনন্দ।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে ১৮ দলের ডাকা আগামী টানা ৬০ ঘণ্টার  হরতালের সমর্থনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা কোর্টমোড়স্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয় এসে সমাবেশর আয়োজন করেন। সমাবেশে জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আইনুর হোসেন পচার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্যজীবীদলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরশেদ আলী কালু, জেলা কৃষক দলের সভাপতি হামিদুল হক নেতাজীসহ জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আলমডাঙ্গা থানা মৎস্যজীবীদলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সারাদেশে ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের হত্যা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার নওপাড়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের উদ্যোগে গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। নওপাড়া বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ভাটপাড়া গ্রাম ঘুরে একই স্থানে গিয়ে সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মুরাদ আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো, উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি গিয়াস উদ্দীন, পৌর জিয়া পরিষদের সভাপতি আহসান হাবীব বাবু, সাধারণ সম্পাদক পৌর ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদল নেতা আব্দুল ওহাব বুলবুল, জামাল উদ্দীন ও সোহরাব হোসেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা আফিরুল ইসলাম, মহিবুল, ইয়ারুল, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, ছাত্রদল নেতা চপল বিশ্বাস, শাহিবুল ইসলাম, হাসের, ইসলাম প্রমুখ। অবিলম্বে হত্যা ও হয়রানি বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দ।

গাংনী প্রতিনিধি আরও জানিয়েছেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনর্বহাল ও গ্রাম পর্যায়ে আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার করার লক্ষ্যে মেহেরপুর জেলা বিএনপি সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের উদ্যোগে গাংনীর ধালখোলা গ্রাম বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবদল নেতা আব্দুল ওহাব বুলবুল। বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মুরাদ আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো, উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, বিএনপি নেতা অ্যাড. আতাউল হক আন্টু। উপস্থিত ছিলেন বামন্দী ইউপি বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর রশিদ বাচ্চু, ছাত্রদল নেতা চপল বিশ্বাস, শাহিবুল ইসলাম ও আশিক, স্থানীয় বিএনপি নেতা ইউনুছ আলী মহুরা, আড়পাড়া গ্রাম বিএনপি সভাপতি মন্টু মিয়া প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ধানখোলা বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি, হামলা-মামলা ও হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার ভাটইবাজার থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এমএ ওহাব। পুলিশ বাধা দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা আধাঘণ্টা ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় সড়কের দু পাশে শ শ যানবাহন আটকা পড়ে। পরে বিএনপি নেতা ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এমএ ওহাব, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান খান দিপু, যুগ্মসম্পাদক টিক্কা জোয়ার্দ্দার, উপজেলা যুবদলের সভাপতি নায়েব আলী, সাধারণ সম্পাদক নুর আমিন ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু জাহিদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদের মুক্তি দাবি করে এমএ ওহাব বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত সরকারবিরোধী আন্দোলন চলবে। আওয়ামী লীগ এখন নির্বাচন দিলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না, এটা জেনে তারা নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে। তিনি বলেন, প্রশাসনের যে কর্মকর্তারা সরকারের নির্দেশে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে, জনতার আদালতে তাদের বিচার করা হবে। তাদের লিস্ট করে রাখুন। বিকেলে উপজেলার শেখপাড়া বাজার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গেটসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল শনিবার জীবননগর উপজেলা বিএনপির ৩টি গ্রুপ এখানে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে। উপজেলা ও পৌর বিএনপির ব্যানারে মোজাম্মেল হক ও অহিদুল গ্রুপ এবং নোয়াব আলী গ্রুপের বিক্ষোভ মিছিল দুটি শহর প্রদক্ষিণ করে।

বিকেলে উপজেলা শহরের আখ সেন্টারের সম্মুখে অবস্থিত পৌর বিএনপির অফিস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাইদুর রহমান ধুন্দু, পৌর বিএনপি সভপাতি সাহজাহান কবীর ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন এবং উপজেলা বিএনপির একাংশ অহিদুল গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ শেষে প্রদিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে উপরোক্ত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসান, পৌর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কাউন্সিলর নবী শাহ্, আহাম্মদ আলী, রবি সর্দ্দার, আব্দুল অলিম, হাসান আলী, কিনারউদ্দিন, হাসান বিশ্বাস, নজরুল ইসলাম, হবি, আমিনুল ইসলাম, ছানোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বদরউদ্দিন বাদল, আমিনুল, জেমস, সেলিম রেজা, আরিফ, সিরাজ, আলম, আতিয়ার রহমান বদি ,রেজা, যুবদল নেতা মনির, হামিদ, আজমন, ইক্তা, সাইদুর, আরিফ, সুমন, ইছাহাক, আবুল, বকুল, লিটন, শুকুর, হিরণ, জাকির ও ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে জাকির আহম্মেদ শামীম, খোকন, জুয়েল, ডালিম, টোকন, দেবাশীষ, জাহিদ, সুমন, রাসেল, মানিক, সাইদুর, রোমেল ও মামুন বক্তব্য রাখেন।

উপজেলা বিএনপির একাংশ অহিদুল বিশ্বাস ও টিপু দতরফদার গ্রুপের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, আশরাফুল ইসলাম, সাবদার রহমান, জাফরউল্লাহ, মশিউর, আব্দুর রশিদ, নাসিরউদ্দিন সোহাগ, আয়তুল হক, হাচানুর, আ. সালম, নজরুল ইসলাম, রিপন, মোমিন, শাহিন মোল্লা, ছাত্রদলের রুবেল, মাসুম, আবু হাচান, বজলু, আমিনুল, মজিবর, টিপু সুলতান, হান্নান, হাবুল মোল্লা, জাহাঙ্গীর, অঅশরাফ, মতিয়ার।

উপজেলা বিএনপি একাংশের পৌর মেয়র নোয়াব আলীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে। কড়া পুলিশি প্রহরার মধ্যদিয়ে মিছিলটি শহর ঘরে দলীয় কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মেয়র নোয়াব আলী। বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা দল সভানেত্রী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আক্তার রিনি, পৌর বিএনপি সভাপতি পৌর প্যানেল মেয়র মশিউর রহমান, বিএনপি নেতা পৌর কাউন্সিলর হযরত আলী, সামসুজ্জামান হান্নু, দপ্তর সম্পাদক আনিছুর রহমান শিপলু, তাজুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, আবু বকর সিদ্দিক, কুদ্দুছ আলী, আব্দুল মালেক, বাবুল, আলী আকবর, আপিল মাহমুদ, শফি, বিল্লাল, হাসান, রয়েল, বাপ্পা, হারুন, শাহাজাদা, বুলবুল, রাজু, ভূট্ট ও সুমন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গণগ্রেফতার বন্ধ ও কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিবাজার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট। মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন। পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সঞ্চলনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রহমান, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির সিরাজুল ইসলাম, জেলা সংগ্রাম পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক ইলিয়াছ হোসেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তারেক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (বিজেপি) জেলা আহ্বায়ক শেখ সাঈদ আহমেদ, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. রুহুল আমীন, জেলা তাঁতীদলের সভাপতি আরজুল্লাহ মাস্টার বাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহ্বায়ক ফয়জুল কবির, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদল নেতা সোহেল হোসেন, আহমেদ রাজিব খান প্রমুখ। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি মাসুদ অরুন বলেন, সংলাপের নামে সরকারের মিথ্যাচার রাজপথে সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই জবাব দেয়া হবে। তিনি গণগ্রেফপ্তার বন্ধ ও কারাবন্ধী নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল হক মাস্টার, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের জেলা সভাপতি আব্দুর রব মাস্টার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওবাইদুল্লাহ সেন্টু, জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. কামরুল হাসান, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম, তাঁতীদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান হাবু, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মুজিবনগর উপজেলা জাসাস’র আহ্বায়ক জুলফিকার খান হেলাল প্রমুখ।