চুয়াডাঙ্গা প্রদীপন বিদ্যাপীঠের পরিচালনা পরিষদের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

 

ইসলাম রকিব: চুয়াডাঙ্গা প্রদীপন বিদ্যাপীঠের পরিচালনা পরিষদের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে সহসভাপতিসহ সমন্বিত শিক্ষা উন্নয়ন পরিষদের ৩ জন ও অভিভাবক ঐক্য পরিষদ প্যানেলের ৩ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল বুধবার এ নির্বাচনে দুটি প্যানেলের ১১ জন সদস্য ৬টি পদের বিপরীতে ভোটযুদ্ধে নামেন। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ২টায় শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে ঘোষিত ফলাফলে সহসভাপতি পদে সমন্বিত শিক্ষা উন্নয়ন পরিষদের আমজাদুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে ৩২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অভিভাবক ঐক্য পরিষদের আশরাফুল হক ওরফে বিপুল আশরাফ ছাতা প্রতীক নিয়ে ২০৮ ভোট পান। এছাড়া সদস্য পদে শাহাজান খান (সমন্বিত শিক্ষা উন্নয়ন পরিষদ) বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৩৭৭ ভোট, রোমানা আক্তার (অভিভাবক ঐক্য পরিষদ) আম প্রতীকে ৩৪৪ ভোট, রিপন আলী (অভিভাবক ঐক্য পরিষদ) কাপ-পিরিচ প্রতীকে ২৭৯ ভোট, মুস্তাক আহমেদ (অভিভাবক ঐক্য পরিষদ) টিউবওয়েল প্রতীকে ২৫৬ ভোট ও সমন্বিত শিক্ষা উন্নয়ন পরিষদের আতিউর রহমান কলস প্রতীকে ২৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। পরাজিত সদস্যদের মধ্যে আবুল হোসেন মিলন মোরগ প্রতীকে ২৩৭ ভোট, ওয়াহিদুল কাদির জোয়ার্দ্দার মাছ প্রতীকে ২২৩ ভোট, তানজিলুর রহমান চৌধুরী দেয়ালঘড়ি প্রতীকে ২০৮ ভোট, জাহিদ হোসেন ফুটবল প্রতীকে ১৯৪ ভোট, রকিবুল ইসলাম চেয়ার প্রতীকে ১২৭ ভোট ও ছানোয়ার হোসেন বাইসাইকেল প্রতীকে ১৮ ভোট পান।

চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী প্রদীপন বিদ্যাপীঠের ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে গতকাল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৩টি বুথের মাধ্যমে ৬৫৫ জন অভিভাবকের ভোটগ্রহণ শুরু হলেও মোট ভোট পোল হয় ৫৩০টি। এর মধ্যে ২৫টি ভোট বাতিল হয় বলে জানান প্রিসাইডিং অফিসার সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ কুমার সাহা। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ ছিলো স্বতঃস্ফূর্ত এবং বিদ্যালয় আঙিনা ছিলো উৎসবমুখর।

নির্বাচন কার্যক্রম তদারকি করার জন্য বিদ্যালয়ের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি উপস্থিত ভোটার ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী আপনারা অবাধ-নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন চেয়েছিলেন। সেটি আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করার চেষ্টা করেছি। আশা করি কোনো সমস্যা হয়নি বা হবে না। বিজয়ী প্রার্থীরা অবশ্যই বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মানসহ সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবেন। এছাড়া কেন্দ্র প্রদির্শন করেন ডিডি এলজি আনজুমান আরা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কলিমউল্লাহ ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি দে।