চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার বদনপুরের লাভলু আবারো যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত

শিশু শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানি : প্রাইভেট টিউটরকে ধরে পিটিয়েছে গ্রামবাস

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় লাভলু (২৮) নামের এক প্রাইভেট মাস্টার তার কাছে প্রাইভেট পড়ুয়া ৫ম শ্রেণির এক কোমলমতি শিশু ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে আবারো অঘটন ঘটিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসী তাকে গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। সে বর্তমানে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। গতকাল শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। প্রাইভেট মাস্টার উপজেলার বদনপুর গ্রামের নুহুনবীর ছেলে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বদনপুর গ্রামের নুহুনবীর ছেলে লাভলু বেশকিছু দিন ধরে গ্রামের প্রায় ৪০/৫০ জন শিশু শিক্ষার্থীদের নিজ বাড়িতে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছে। গতকাল শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়ানো শেষে প্রাইভেট পড়তে আসা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলে এবং ৫ম শ্রেণির ওই শিশু শিক্ষার্থীকে বলে তুমি একটু পরে যাও। এরপর প্রাইভেট মাস্টার ওই কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীকে ফুঁসলিয়ে তার যৌনাঙ্গসহ স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। বিষয়টি গতকাল সন্ধ্যায় জানাজানি হয়ে পড়লে প্রাইভেট মাস্টার লাভলুকে গ্রামবাসী রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধরে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে এএসপি (প্রবি) আছাদুজ্জামান, দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই ইমদাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রাইভেট মাস্টার লাভলু শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর আড়ালে ইতঃপূর্বেও বেশ কয়েকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। গত আট মাস আগে এ রকমই একটি ঘটনায় তার নামে দামুড়হুদা থানায় মামলাও হয়। বিচারাধীন ওই মামলায় লাভলু সাড়ে চার মাস হাজতবাস করে বর্তমানে জামিনে আছে।

গ্রামবাসী জানান, প্রাইভেট শিক্ষক লাভলুর কাছে যে সমস্ত শিশু শিক্ষার্থীকে পড়তে দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছাত্রীদেরই একই ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই সমস্ত অভিভাবক লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি জানাজানি না করে গোপনে তার কাছে প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করে দিয়েছেন। ওই শিক্ষকের কাছে কোনো শিশু শিক্ষার্থীই নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার সচেতনমহল। লাভলু সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। আগামী ৮ নভেম্বর তার জয়নিং ডেট। এরই মধ্যে সে ঘটালো আবারো এক অঘটন। গ্রামবাসীর তাদেরকে এক ঘরে অথবা গ্রাম থেকে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।