চুয়াডাঙ্গার বড়শলুয়ায় মোবাইলফোনে দু সন্তানের জনক-জননীর পরকীয়া

অবশেষে প্রথম স্বামীকে তালাক : ছেলেকে হাজির করার প্রতিশ্রুতি পিতার

বেগমপুর প্রতিনিধি: অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রথম স্বামী আবেদকে তালাক দিলেন পরকীয়া প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া নাছিমা। বিয়ের দাবিতে পরকীয়া প্রেমিক পিকলুর বাড়িতে অবস্থান করছেন। গ্রাম্য মতবরদের নিকট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছেলে পিকলুকে হাজির করার প্রতিশ্রুতি দিলেন পিতা হায়দার আলী।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে দু সন্তানের জনক পিকলু মোবাইলফোনে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ঢাকায় বসবাসরত একই গ্রামের আবেদ আলীর স্ত্রী দু সন্তানের জননী নাছিমা বেগমের সাথে। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলে নাছিমা ঢাকা থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি বড়শলুয়া গ্রামে ফিরে আসে। নাছিমা ফিরে এলে চতুর পিকলু দেয় গা ঢাকা। নাছিমাও নাছোড়বান্দা। প্রথম স্বামী ঘরে রেখে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয় পরকীয়া প্রেমিক পিকলুর বাড়িতে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে বসে একাধিক সালিস বৈঠক। পরকীয়া প্রেমিককে কাছে না পেয়ে প্রথম স্বামীকে হাতছাড়া করতে চাচ্ছিলো না নাছিমা। অবশেষে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পিকলুর পিতা হায়দার আলী গ্রাম্য মাতবরদের নিকট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছেলে পিকলুকে হাজির করার প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রতিশ্রুতি পেয়ে নাছিমা প্রথম স্বামী আবেদ আলীকে তালাক দেয়। পিকলু গ্রামে ফিরলে নাছিমা কোন ভূমিকা নেয় সেটা দেখার অপেক্ষায় বড়শলুয়া গ্রামবাসী। তবে গ্রামবাসী মন্তব্য করে বলেছে, পিকলু অর্থবিত্তবান হওয়ায় পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে মধুপান করে যাচ্ছিলো। কিন্তু নাছিমা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পিকলুর পরকীয়ার অবসান ঘটাতে বিয়ের দাবিতে ওঠে তার বাড়িতে। ফলে পরকীয়া করে পিকলু যে চালাকি করতে চেয়েছিলো নাছিমার কাছে তা পড়েছে ধরা।