চুয়াডাঙ্গার গোবরগাড়া গ্রাম থেকে দু স্কুলছাত্রী নিখোঁজ বাড়িতে লিখে রেখে গেছে চিঠি : পুলিশ তৎপর

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের গবরগাড়া গ্রামে থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার নাম করে দু স্কুলছাত্রী নিখোঁজ হছেছে। যাওয়ার আগে বাড়িতে চিঠি লিখে রেখে গেছে ওই দু স্কুলছাত্রী। অনেক খোঁজাখুজির পর তাদের সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছে অভিভাকসহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গোবরগাড়া গ্রামের নূর হোসেনের মেয়ে সোহাগী খতুন, আবুবক্কর সিদ্দিকের ছেলে মেয়ে শারমিন খাতুন গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্রী। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে প্রইভেট পড়ার নাম করে বোরকা পরে তারা বাড়ি থেকে বের হয়। সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার পরও যখন তারা বাড়িতে না ফেরে তখন পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। প্রথম দিকে বিষয়টি প্রেমঘটিত কি-না তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা কল্পনা। পরে শারমিনের বাড়িতে তার হাতের লেখা একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়। চিঠিতে সে লিখে গেছে প্রিয় মা-বাবা, আমার লেখাপড়ায় ভালোলাগে না। আমাদেরকে মানুষ করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। যদি পরীক্ষায় ফেলে করি তাহলে আপনারা মনে অনেক কষ্ট পাবেন। তাই কাজ করার জন্য রওনা দিলাম। কাজ করে বিকাশে টাকা পাঠাবো। যদি মনে করেন ওই টাকা আপনারা গ্রহণ করবেন তা হলে ভালো। আর না হলে আমাদের পাঠানো টাকাগুলো মসজিদে দান করে দিয়েন। প্রথমে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল খোলা থাকলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। নতুন একটি নাম্বার দিয়ে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। পরে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল বুধবার সকাল অবদি তাদের সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হাজির হয়ে পুলিশকে জানান। পুলিশ সোহাগী এবং শারমিনের নাম্বার দুটি নিয়ে তাদের লোকেশন জানার চেষ্টা চালায়। তবে গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত কোনো সন্ধান পায়নি পরিবারের লোকজন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ বলেন, তারা লেখাপড়ায় ততোটা ভালো না। সব সময় পেছনের বেঞ্চে বসতো। পারিবারিক দিকটি ভেবে আবেগতাড়িত হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপরও বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তোজাম্মেল হোসেন বলেন, মোবাইল ট্রাকিং করে যতোটুকু জানা গেছে, তাদের লোকেশন ঢাকা সাভার দেখা যাচ্ছে।