চাচার লাঠির আঘাতে নিহত ভাতিজার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন

চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হত্যামামলা : আইনগত সহায়তা চেয়ে মানবতা সংস্থায় আবেদন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চাচার লাঠির আঘাতে নিহত ভাতিজা লিপুর মৃতদেহ গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে লিপুর বড় ভাই লিপ্টন বাদী হয়ে চাচাদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হত্যার অভিযোগ পেশ করলেও গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের তেমন কাউকেই পুলিশ ধরতে পারেনি।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া তমালতলায় শরিকি জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার সংঘর্ষে চাচার লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হয় ভাতিজা লিপু ও লিপ্টনসহ তাদের মা। উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় লিপুকে (১৭) ওই রাতে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে পরদিন শনিবার সকালে মারা যায়। লাশ নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গায়। গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে নিকটজনেরা নিজ গ্রামে নিয়ে দাফন কাজ সম্পন্ন করে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার মানবতা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, লিপু হত্যামামলায় আইনগত সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছেন লিপ্টন ও তাদের ভগ্নিপতি। আবেদনের প্রেক্ষিতে মানবতা সংস্থা আইনগত সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। এ আবেদন গ্রহণের সময় মানবতা সংস্থার অ্যাড. কায়জার হোসেন জোয়ার্দ্দার, হাফিজ উদ্দীন হাবলু, হারুন অর রশিদ, অ্যাড. জালাল উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।